সিলেট ওসমানী মেডিকেল ল্যাবে একদিনে ১০ জন করোনা পজিটিভ।

 প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০৫ অপরাহ্ন   |   সিলেট


এম আব্দুল  করিম,সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ

সিলেট এম এ জি  ওসমানী মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাসের পরীক্ষাগার ল্যাবে এই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এক দিনেই ১০ জনের শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যাধি করোনার অস্তিত্ব। 


জানা যায় গত (২০ এপ্রিল)  সোমবার সিলেট এম এ জি  ওসমানী মেডিকেল কলেজে মোট ৮৮ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। তন্মধ্যে ৭৮ জনের ফলাফল নেগেটিভ আসলেও ১০ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। আর দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,  কাকতালীয়ভাবে ওই পজেটিভ ১০ জনের সবাই হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। 


এদিকে সিলেট এম এ জি  ওসমানী মেডিকেল কলেজে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে।  শুরুর দিকে প্রাপ্ত ফলাফল নেগেটিভ আসতে থাকে। এরপর গত সপ্তাহের দিকে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের এক নারীর শরীরে ধরা পড়ে করোনার অস্তিত্ব। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে এটিই ছিল প্রথম করোনা পজেটিভ ফলাফল। এরপর সুনামগঞ্জের আরেকজন নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল।


এছাড়া গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার আরো দুই জনের শরীরে পাওয়া যায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। গত রবিবার সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের টমটম চালক এক যুবকের শরীরেও ধরা পড়ে করোনাভাইরাস।


 আর এসব মিলিয়ে বিগত দিনে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে করোনার ফলাফল পজেটিভ আসে ৫ জনের। কিন্তু  সোমবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের এই ল্যাবে একদিনেই ১০ জনের ফলাফলে করোনা পজেটিভ আসে এবং একলাফে এ সংখ্যা হয়ে যায় সতেরো। 


উল্লেখ্য যে, সিলেটে সর্বপ্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনবিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মঈন উদ্দিনকে। গত ৫ এপ্রিল তার শরীরে ধরা পড়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। 


আর সিলেটেই ডাঃ মঈনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল ঢাকায় এবং পরবর্তীতে আইইডিসিআর থেকে তার  ফলাফল জানানো হয়েছিল করোনা পজেটিভ হিসেবে।

সিলেট এর আরও খবর: