অলস সময় কাটাচ্ছেন কাজিপুরে মাছের আড়ৎদাররা

 প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ০৭:২৪ অপরাহ্ন   |   পুজিবাজার



সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার দুটি মাছের আড়ৎগুলো এখন ফাঁকা। মাছের আমদানি কম থাকায় অলস সময় কাটাচ্ছে শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। স্বল্প সংখ্যক মাছ আমদানি হলেও দাম অনেক চড়া। যা’ সাধারন ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এ বছর যমুনা ও ইছামতি নদী থেকে জেলেরা ফিরছেন খালি হাতে। যে কারণে সরগরম থাকা মেঘাই ও বাঐখোলা আড়ৎগুলোতে এখন সুনসান নিরবতা।


বুধবার (১৮ মে) দুপুরে মাছঘাটে দেখা গেছে ঘাটে মাছের নৌকা নেই। জেলে ও ব্যবসায়ীর সংখ্যাও খুব কম। মাত্র কয়েকজন আড়তে বসে আছেন জেলে ও ব্যবসায়ী। সামনে অল্প মাছ নিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছেন তারা। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের আমাদানি না থাকায় ব্যবসায়ীর দেখা মিলেনি। মাছ কিনতে আসা ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বল্প সংখ্যক আছে, দাম খুব বেশী। যে কারণে কিনতে পারেনি।


মেঘাই ঘাটের আড়তের রুবেল বলেন, মাছের আমদানি কম থাকায় দাম একটু বেশি। মেঘাই ও বাঐখোলা নৌকা ঘাটে মৎস্য আড়ৎ মিলিয়ে ১০/১২ মণ মাছ আমদানী ও বিক্রি হয়েছে। এখন দাম অনেক বেশী। নদীর বিভিন্ন জাতের মাছ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২শ’ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্ৰাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ হাজার টাকা কেজি। 


বাঐখোলা ঘাটের আড়ৎদার আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের এখানে যমুনা নদীতে ইলিশ নাই বললেই চলে। মাছ খুব কম আমদানি হচ্ছে। ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা, ৬শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮শ’ টাকা। তিনি আরো বলেন, এখন মৌসুম পুরোপুরি না। যার কারণে মাছ নেই। সামনে ভরা মৌসুমে আশা করছি জেলেরা জেলেরা পাবে, তখন আমদানিও বাড়বে। এই দুইটি আড়ৎ জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তখন ক্রেতারা কমদামে ক্রয় করতে পারবে।