বেনাপোলে একটি হাসপাতাল চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবেদন
মনা,যশোর শার্শা প্রতিনিধিঃ
চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে
বেনাপোলে নেই কোনো সরকারি হাসপাতাল, কাগজ-কলমে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও তার অস্তিত্ব নেই। চিকিৎসা নেয়ার জন্য রোগীদের যেতে হয় ৩৬ কিলোমিটার দুরে যশোর জেলা সদরে। ফলে, বেনাপোলের প্রায় ৩.৫ লাখ মানুষ এখন স্বাস্থ্য ঝুকিতে। মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বেনাপোলের সাধারণ মানুষ। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও সেটিও শহরের বাইরে অবস্থিত।
হাসপাতাল না থাকায় চিকিৎসা সংকটে প্রায় সময় মারা যায় দূর্ঘটনা কবলিত মানুষ। একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে যশোর সিভিল সার্জন'র মাধ্যমে সচিব,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ সচিবালয় বরাবর বেনাপোলবাসীর পক্ষে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল মান্নান।
বুধবার(১১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে শিক্ষক আব্দুল মান্নান যশোরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সিভিল সার্জন ডা.মাহমুদুল হাসান এর হাতে তুলে দেন বেনাপোলবাসীর দাবি'র আবেদন পত্রটি। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান এবং অবগতির জন্য জেলা পশাসক মো.আজাহারুল ইসলাম'র হাতে আবেদন পত্রটি তুলে দেন। এ সময় তাকে সহযোগীতা করেন যশোর বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো.আবু সাইদ ও যশোর সরকারি সিটি কলেজ'র শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নুর।
আবেদন পত্রে বেনাপোলবাসীর পক্ষে শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেছেন, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ৫ হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করে থাকেন। বর্তমানে স্থল বন্দর থেকে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আহরণ করে থাকেন সরকার। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই বন্দর এলাকায় আজ প্রর্যন্ত কোন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করে বলেন, বেনাপোল পৌরসভার অধীনে হাসপাতাল নির্মান করার জন্য ৫০ শতক জমি ক্রয় করা হয়েছে।
অতএব, আপনার নিকট আকুল আবেদন যাহাতে বেনাপোল স্থল বন্দরে একটি পূর্নাঙ্গ ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতাল নির্মান করা হয়,তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার একান্ত মর্জি হয়।