যশোর বেনাপোলে ওলামা মাশায়েখদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
মনা,যশোর শার্শা প্রতিনিধিঃ
গত ১৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে গাজীপুর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ঘুমন্ত মুসল্লীদের উপর সাদপন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বেনাপোলে ওলামা মাশায়েখদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঐ হামলায় নিহত হয় মাওলানা জুবায়ের পন্থী’র ০৪ মুসল্লী,আহত হয় অগনিত। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নিহত এবং আহতদের জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
রবিবার(২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বাজারস্থ রহমান চেম্বার সম্মুখে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওলামা মাশায়েখদের মধ্যে নেতৃত্ব দেন মাওলানা আবুল হোসেন(ইমাম, সাদীপুর বেলতলা জামে মসজিদ,বেনাপোল)।
মুফতি সাইদুল বাশার(মুহতামিম,বেনাপোল জামিয়া ইসলামিয়া ও লতিফা ইয়াছিন এতিমখানা), মুফতি আবু হানিফ(ইমাম,বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন জামে মসজিদ, হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক(ইমাম,বেনাপোল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ),মুফতি ওমর ফারুক(ইমাম,বেনাপোল কাঁচা বাজার জামে মসজিদ) প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ঈসাব্দ রোজ মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ঘুমন্ত মুসল্লীদের উপরে ইসরায়েল, ভারত ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর সাদপন্থী খুনী সন্ত্রাসী কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং বাংলাদেশে তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে তাদের(ওলামা মাশায়েখ) এই বিক্ষোভ সমাবেশ।
বেনাপোল চেকপোষ্ট সন্নিকটে অবস্থিত বাগে জান্নাত মাদ্রাসায় ইস্তিকবাল জামাতের নামে খুনি সন্ত্রাসী সাদ বাহিনী’র ঢাকা’র নেতা হাজী কামাল, হাজী আশরাফ,বদরুল,ফয়সাল প্রমূখেরা যেন বাগে জান্নাত মসজিদে প্রবেশ করে ধর্মের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি,মসজিদের পরিবেশ বিনষ্ট করতে না দেওয়া, বাগে জান্নাত মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম সাদপন্থীদের থেকে উদ্ধার করে হক্কানী আলেমদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
*যশোর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে সকল খুনী সন্ত্রাসী সাদপন্থী টঙ্গীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খুনী সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের গডফাদার ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম, মুয়াজ বিন নুর, জিয়া বিন কাশেম, আব্দুল্লাহ মনসুর, রেজা আরিফসহ খুনীদের সকল গডফাদারকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ এবং টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠসহ সারাদেশের সকল মসজিদে খুনী সন্ত্রাসী সাদপন্থীদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইজতেমা মাঠে হামলা ও সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।এ ঘটনায় মামলা হবে মামলার পর জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।