ফরিদপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিহত কমপক্ষে ৭জন।

বার্তা সম্পাদক
আউয়াল ফকির
ফরিদপুর বাখুন্ডা, জোবাইদা করিম জুট মিল এর সামনে মারাত্মক বাস এক্সিডেন্ট এর মূল কারণ ছিলো ওভার স্পিড এবং ওভার টেকিং। বাস তার নিজস্ব লেন থেকে বিপরীত লেনে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে। ড্রাইভার এর পা একাধিক স্থান থেকে ভেংগে গেলেও সে ট্রিটমেন্ট নিতে হাসপাতালে আসে নাই।
যারা মারা গেছে তারা হলেন:
১.দীপা খান (৩৪),কাটিয়া বড়গ্রাম, তালমা,ফরিদপুর।
২.আলম- হাজিগঞ্জ, চরভদ্রাসন,,
৩.ভারতী সরকার (৩৮)-চরচানপুর,সদরপুর
৪.জোয়াদ সরদার (৬০)-শিয়ারকান্দি,নগরকান্দা,ফরিদপুর।
৫. ইমান সরদার (২৫)- শিয়ারকান্দি,নগরকান্দা, ফরিদপুর।
৬.ফজিরন নেসা (৬০) গোয়ালচামট,মোল্লাবাড়ি সড়ক,ফরিদপুর।
৭.আজিবর (৪৩) পূর্ব ফকিরপাড়া,
হাতিবান্দা,লালমনিরহাট।
সর্বমোট ৩৫ জন ভর্তি হয়ে ছিলো। তার মাঝে গুরুতর দুইজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়। ১ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বাকী অনেকের অবস্থা গুরুতর। আহতদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। রোগীর লোকজন আসার পূর্বে Zeba Tahsin, Farhan Sadik Noor, Meharab Islam Umme Habiba Arafat Khan এবং তামিম হোসেন রনি সহ যারা খবর পাওয়া মাত্র রোগীর পাশে এসে আমার সাথে অর্থ,শ্রম ও সময় দিয়ে সাথে ছিলেন। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আমাদের সকলের প্রাণের দাবী দ্রুত ভিত্তিতে মুন্সিবাজার টু ভাঙ্গা হাইওয়ে কে প্রসারিত করা হোক। সকল বাস ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ এর আওতায় আনা হোক। এবং চালক,হেল্পার আর সুপার ভাইজারদের কারো মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা থাকলে আইনের আওতায় আনা হোক।
যার যাই সেই বুঝে কি হারাইছে। এক নারীর স্বামী ও আমার বয়সী সন্তান হারিয়েছে। এক বোন তার স্বামী বাইকে আনতে চাইলেও সাথে বাবু নিয়ে বাইকে উঠবে না দেখে বাসে এসে জীবন হারিয়েছে। কর্তপক্ষের অবহেলায় আর কত জীবন গেলে টনক করবে।
শেষের দুইজন অজ্ঞাত রোগী। যাদের আত্মীয় পরিচয় পাওয়া যায় নি। আমাদের তদারকিতে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সঠিক চিকিৎসা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।