কালকিনিতে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রত্যাখান করলেন ইউএনও

মোঃ জিয়াউদ্দিন লিয়াকত, নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে কালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রত্যাখ্যান করেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল আরেফিন।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমি হলরুমে ২০২২ এবং ২০২৩ সালের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় সেরা ৩৯ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদের সনদপত্র, ক্রেস্ট এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্কুলের প্রধার ফটকে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান রোদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে তার আগমন উপলক্ষ্যে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান শুরু করলে তিনি তা তাৎক্ষনিকভাব প্রত্যাখান করেন। পরে তিনি এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান, রাজৈর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুল হক, মাদারীপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহীদ হোসেন, ডাসার সরকারি মহিলা মহা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করলেও তবে লাল গালিচার সংবর্ধনার বিষয় কিছু জানিনা। লাল গালিচা সংবর্ধনা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছে।
কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী মিয়া জানান, আমাদের বিদ্যালয় বিগত দিনে এগুলো হয়ে আসছিল তাই আমিও করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ-উল আরেফীন বলেন, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গিয়ে দেখি স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার আগমন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনার ব্যবস্থা করে। আমি ওই লাল গালিচা প্রত্যাখান করি এবং প্রধান অতিথি হিসেবে নির্ধারিত রাজকীয় একটি চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হলে ওই চেয়ারে না বসে সাধারন একটি চেয়ারে গিয়ে বসে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছি। তবে আমাকে ঘিরে এরকম অনুষ্ঠান না করার জন্য উপজেলার অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি।