নীলফামারীতে বাড়ছে লাভজনক ফসল বাদাম চাষ

 প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন   |   কৃষি ও প্রকৃতি




 নুরল আমিন রংপুর ব্যুরোঃ


নীলফামারীতে বাড়ছে লাভজনক ফসল বাদামের চাষ। ঝুঁকি কম,ব্যাপক চাহিদা ও বাজারে বাদামের ভালো দাম পাওয়ায় গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে বেড়েছে বাদামের চাষ। স্বল্প খরচে বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় বাদাম চাষে বেশী আগ্রহী হচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা।


 জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার নীলফামারী জেলায় ৬ উপজেলায় ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাদামের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। কৃষক আমন ও আলু উঠানোর পর বাদাম চাষ করেছে। বাদাম সহ বছরে জমিতে তিনটি ফসল চাষ করতে পারছেন কৃষকরা।   


অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে তেমন শ্রম দিতে হয় না। এছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামে রোগবালাই কম থাকায় কীটনাশক প্রয়োগের ঝামেলা কম। ফলন ভালো হতে মাঝে মধ্যে কয়েকবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেই ফসল ভালো হয়। বাজারে বাদামের ভালো দাম থাকায় গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার চাষিরা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জেলার ডোমার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার উচু ও চর এলাকায় বেশী বাদাম চাষ হয়েছে।


 জলঢাকা উপজেলার কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এসব জমিতে আগে পাট আবাদ করতাম।এখন বাদাম চাষ করি। প্রতি বিঘায় যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়।বাদাম আমাদের জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়।  


 ডোমার উপজেলার কৃষক সাজু মিয়া বলেন,আমি কয়েক বছর থেকে বাদাম চাষ করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে পেয়েছি। আমার লাভ দেখে অন্যান্য কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চিলমারি,হাইব্রিড ও লরি জাতের বাদাম বেশী ফলন ও লাভ হওয়ায় সকলে এ জাতের বাদাম চাষ করে। এবার আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। 


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস. এম. আবু বকর সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার জেলায় বাদাম চাষ বেশী হয়েছে। খরচ কম, দাম বেশী,তাই বাদাম একটি লাভজনক ফসল। উপসহকারী কৃষি কর্মকতার্রা কৃষকদের জমিতে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কৃষি ও প্রকৃতি এর আরও খবর: