বিজিবি সদস্য দেবাশীষ এর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের কারণে স্ত্রীর মামলা দায়ের

 প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩০ অপরাহ্ন   |   বরিশাল


বরিশাল প্রতিনিধিঃ 


যৌতুক লোভী ও পরকীয়া আসক্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের  সৈনিক দেবাশীষ কুমার সেন (নং ৯৪৭১৯) এর কারণে তার বিবাহিত স্ত্রী বিচারের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের।


জানা যায় বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের বিজয় ভূষণ দত্তের কন্যা ইতি দত্তের সাথে যশোরের দিলীপ কুমার সেনের পুত্র বিজিবি সৈনিক দেবাশীষ কুমার(নং ৯৪৭১৯)সেনের সাথে হিন্দু শাস্ত্র মতে ২/১০/২০১৯ ইং তারিখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।


বিয়ের কিছু দিনের এরমধ্যে ভুক্তভোগী ইতি দত্তের সাথে তার শশুর শাশুড়ি তথা পরিবারের সাথে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। শশুর শাশুড়ির বিভিন্ন প্রকার  খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে তার উপরে তার শশুর শাশুড়ি শারীরিক নির্যাতন চালায়। ইতি দত্ত তার শ্বশুরের আঘাতে কর্ণ হতে রক্ত বের হলে  লোকজন তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা করান।



এরপর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ তিথি দত্তকে দেবাশীষের কর্মস্থান রংপুরে  নিয়ে জান।  ইতি দত্ত রংপুর গেলে সেখানে জানতে পারে দেবাশীষ অন্য এক মহিলা সৈনিক এর সাথে পরকীয়া আসক্ত।


এব্যাপারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতানৈক্য ঘটে। এর প্রতিবাদ করলে দেবাশীষ তার স্ত্রী ইতি দত্তের উপর অমানুষিক  শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।


এরই ধারাবাহিকতায় তার ওপরে বিভিন্ন ধরনের যৌতুকের চাপ প্রয়োগ করে। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইতি দত্তের উপরে আরো নির্যাতন চালায় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 

এরপর লোক মারফত ইতি দত্ত কে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এবং ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে তাকে ডিভোর্স দিবে বলে হুমকি দেয়।


এ ব্যাপারে ইতি দত্ত বাদী হয় বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট মামলা দায়ের করেন যাহা বর্তমানে বিচারাধীন।


ভুক্তভোগী ইতি দত্ত সাংবাদিক কে জানায় ২ বছর পূর্বে তাদের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। এবং হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহর পরে বরপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী  নগদ এক লক্ষ টাকা এবং ৪ ভরি স্বর্ণ সমেত অন্যান্য আসবাবপত্র বিয়ের যৌতুক ও উপহার হিসেবে দেন। 


বিবাহর দুই তিন দিন পরেই বিভিন্ন অজুহাতে তাহার ওপরে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে দেবাশীষ এর পরিবার। কোন প্রকার অজুহাত ছাড়াই তার শশুর শাশুড়ি গায়ে হাত তুলতো। বিভিন্ন প্রকার মানসিক নির্যাতন করতো। অযথা গালাগালি করত। এবং যাহা তার বাপের বাড়ি থেকে দিয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট নয়। এরমধ্যে তাহার শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনের কারণে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় সামাজিক নেতৃবৃন্দ তাকে তার স্বামীর কর্মস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দেন । তখন তিনি তার স্বামীর কর্মস্থল রংপুরে জান।



রংপুর  তার স্বামীর কাছে গেলে তিনি তার স্বামীর সহপাঠী মহিলা সৈনিক এর সাথে পরকীয়ার ব্যাপারে জানতে পারেন। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে বিজিবি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে প্রাথমিক অবস্থায় দেবাশীষকে সাবধান করে দেয়। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। এর পরে আবার উক্ত মহিলা সৈনিক এর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে। 

এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় দেবাশীষকে রংপুর হতে কুষ্টিয়ায় বদলি করা হয়। কুষ্টিয়া থাকাকালীন ও উক্ত মহিলা সৈনিক এর সাথে সম্পর্ক অটল রাখে। এর প্রতিবাদ করলে দেবাশীষ কুমার সেন তাহার উপর নির্মম অত্যাচার করে।  এরপরে লোক মারফত তার বাপের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর পাঠিয়ে দেয়। এবং হুমকি দেয় কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করলে এবং আরো যৌতুক বাবদ ১০ লক্ষ টাকা না দিলে তাকে ডিভোর্স দিবে। এবং আরো  প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 


ইতি দত্ত সাংবাদিকদের আরও বলেন স্থানীয় এক কমিশনারের সহযোগিতায় দেবাশীষ বিভিন্ন প্রকার চাপ সৃষ্টি করেন। এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।


ভুক্তভোগী ইতি দত্ত উক্ত দেবাশীষের  অপকর্মের শাস্তি দাবি করেন।