কালকিনিতে জাল দলিলের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগ, দলিল লেখক পলাতক
কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
জমির দাতা ভারতে থাকলেও মাদারীপুরের কালকিনিতে একটি দলিল সম্পাদন করেছেন উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস। এ বিষয়টি ফাঁস হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা ও স্থানীয় সচেতন মহল চড়ম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এ ঘটনার পর ওই দলিল লেখকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জাল দলিল সম্পাদন করা হয় বলে দাবী স্থানীয়দের। আজ বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার অফিস।
সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও সরেজমিন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার টোরকিরচর গ্রামের সচিন হাজরার ছেলে সুজন হাজরা ও তার ভাই ভারত প্রবাসী চয়ন হাজরার ১৩৯নং চরদৌলতখা মৌজার বিআরএস ১২৪৪৭নং দাগে ৪৮শতাংশ জমি রযেছে। তাদের দুই ভাইয়ের জমি একই উপজেলার চরদৌলতখা গ্রামের লাল মিয়া চাপরাশীর ছেলে সাহবুদ্দিনের নামে গত জুলাই মাসের ১৭ তারিখ দলিল লেখক মোঃ ঈমাম মাল (সনদ নং-৮/৫) এর মাধ্যমে ভারত প্রবাসী চয়ন হাজরার পরিবর্তে অন্য একজন লোককে ও সুজন হাজরাকে দার করিয়ে ৪৮ শতাংশ জমির একটি জাল দলিল সম্পাদন করেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। দাতাদের মধ্যে একজন ভারত থাকার পরও এই দলিলটি সম্পাদন হওয়ার খবরটি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা ও স্থানীয় সচেতন মহল চড়ম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এ ঘটনার পর ওই দলিল লেখকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জাল দলিল সম্পাদন করা হয় বলে দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, মোটা অংকের টাকা ছাড়া প্রবাসীকে দাতা বানিয়ে দলিল সম্পাদন করা সম্ভব নয়। কারন দলিল করতে গেলে টিবিলে-টেবিলে টাকা গুনতে হয়। তার পর আবার এটা একটা জাল দলিল।
দলিলের স্বাক্ষী লক্ষন বেপারী বলেন, আমাকে যে টাকা দেয়ার কথা ছিল তার থেকে অনেক টাকা কম দিয়েছে।
দলিলের গৃহীতা সাহাবুদ্দিন ও দাতা সুজনকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
দলিল লেখক ঈমাম মাল বলেন, আমি এই দলিল লিখছি ও দলিলের পরিচিত দিয়েছি। তাতে কি হয়েছে। তবে আমি অফিসের স্যারের কথামত কাজ করেছি।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কর্মকর্তা মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেন, দলিলের একজন দাতা ভারতে এ কথা জনতে পেরে আমি আমার জেলা অফিসারকে এই বিষয়টি জানিয়েছি। এবং দলিল লেখক ঈমাম মালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, দলিলের দাতা একজন ভারত এই দলিল সম্পাদন হয় কি করে। তবে দলিল লেখক কি লিখলো তা যাছাই-বাছাই করে সাব-রেজিস্ট্রি কর্মকর্তা দলিল সম্পাদন করার কথা। আসলে এটা কি করে হল। আমি বিষয়টি দেখবো।