যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার জাগরণী এনজিও’র বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

 প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২১, ১২:১৫ অপরাহ্ন   |   খুলনা


আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব‍্যুরো প্রধান।।


যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় মহামারী করোনা ভাইরাসের ক্রমাগতই চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যেই দেদারসে চলছে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম আর এই কার্যক্রমের বলি হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। সরকারি ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। মহামারী থেকে বাঁচানোর কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বরং তাদের দরকার শুধু টাকা। যার জন্য বলি হতে হচ্ছে গ্রাহক বা সদস্যেদের। ঠিকমত খেতে না পারলেও অন্যের নিকট গিয়ে হাত পেতে টাকা নিয়ে বা ধার করে মিটাতে হচ্ছে ঋণ। 


মহামারীর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের গ্রাহক বা সদস্যেদের মধ্যে একটিও মাস্ক দিয়ে সহযোগিতা না করে এনজিও কর্তৃপক্ষ কিস্তির টাকা উত্তলণ করার কাজে মহাব্যস্ত। করোনাকালীন সময়ে কোন গ্রাহক বা সদস্যেদের কিস্তির টাকা দিতে দেরি হলেই শুরু হয় ম্যানেজারের ফোনের মাধ্যমে কলের অত্যাচার। সম্প্রতি জেলা পরিষদের পক্ষে কিস্তি আদায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না কর্তৃপক্ষ। করেনাকালীন সময়ে কিস্তি নেওয়া বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ।


সরেজমিনে সোমবার (২৬ জুলাই) জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ঝিকরগাছা অফিসে গিয়েও কর্মকর্তাদের মুখে ও গ্রাহক বা সদস্যেদের মুখে মাস্ক বা করোনা ভাইরাসের ভয়ের কোন আলামত খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার সুব্রত বাঘচি কিস্তির জন্য ধারাবাহিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে হাজেরালী গ্রামের গ্রাহক বা সদস্যে তানজিলা আক্তার। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী বিদেশে গিয়ে ৩মাসের উপরের তার কাজ বন্ধ আছে। আমি কি করে কিস্তি দিবো ? কিন্তু ম্যানেজার আমাকে একেরপর এক ফোনে কল দিতেই আছে এবং অবশেষে এই ভাই বাড়িতে এসেছে কিস্তি নিতে।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার সুব্রত বাঘচি বলেন, আমাদের কিস্তি নেওয়া বন্ধ আছে। তবে কেউ স্বেচ্ছাই অফিসে দিতে আসলে আমরা নিচ্ছি। গ্রাহক বা সদস্যেদের নিকট ফোন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গ্রাহক বা সদস্যের নিকট টাকার জন্য ফোন করিনা। আমরা তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ফোন করি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, করোনাকালীন সময়ে কিস্তি আদায় করা নিষেধ। করোনাকালীন লকডাউনের বিধিনিষেধে উল্লেখ আছে, একজন ব্যক্তি আর একজনের বাড়িতে যেতে পারবে না। তারপরও যদি কোন পরিবার অসহায় হয়ে থাকে তাহলে তাদের এখন কিস্তি পরিশোধের দরকার নেই। যদিও কোন এনজিওর প্রতিনিধি বাড়িতে যায় তাহলে তাকে বলে দিবেন আমি এখন কিস্তি দিতে পারবো না আপনি চলে যান।

খুলনা এর আরও খবর: