শখের- লেখা লেখি, সাংবাদিকতা ও জীবনের কিছু প্রাসঙ্গিক কথা -পর্ব- ৬
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
বই মানুষের পরম বন্ধু । বই কাউকে ঠকায় না । সত্যি কারের সৃষ্টিশীল বই মানুষকে আলোর পথ দেখায়।বিভিন্ন দেশের মানুষের জীবনাচারণ, শিল্প- সাহিত্য, সংস্কৃতি,অর্থনীতি,ইতিহাস,সভ্যতা ও ধর্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় বই । বই পড়ে পাঠকের মনোযোগ, শব্দ ভান্ডার, স্মৃতি শক্তি, কল্পনা শক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।মানসিক চাপ হ্রাস ও আত্মোপলব্ধি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বই পড়ে মানুষ সৃজনশীলতা ও নৈতিকতাবোধ শিখে।বই মানুষ কে জ্ঞান দেয়,যোগ্য করে তোলে।তাই জ্ঞান পিপাসুদের জন্য বই একমাত্র হাতিয়ার। একটি ভালো মানের বই মানুষের হ্নদয় চক্ষু খুলে দেয় তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধি বিকশিত করে মনের ভিতর আলো জ্বালাতে সহায়তা করে থাকে।তাই বই পাঠ একজন মানুষকে পরিপূর্ণ আলোকিত ও বিকশিত করে গড়ে তোলে। বই পাঠের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে লেখালেখির কাজ করা সম্ভব।যে যত বেশি বই পড়বে তার জ্ঞানের ভান্ডার ততই বৃদ্ধি পাবে। তাই দার্শনিক টলস্টয় বলেছেন, " জীবনে তিনটি বস্তু বিশেষ ভাবে প্রয়োজন,তা হচ্ছে বই,বই ও বই। "
কৈশোর থেকে পুঁথিগত বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জ্ঞান আহরণ ও জীবনের প্রকৃত রহস্য উম্মোচন এবং নিজেকে বৃহত্তর জগতের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বেছে নিয়েছিলাম বই ।ধর্মীয় জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রথমেই অধ্যয়ন করেছিলাম ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন হাদিসের বই। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দোলন চাঁপা,অগ্নিবীণা,বিষের বাঁশী,রিক্তের বেদন, সাম্যবাদী,মৃত্যুক্ষুধা,ব্যাথার দান, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বলাকা,শেষের কবিতা,গল্প গুচ্ছ,সোনার তরী,গীতাঞ্জলি,মালঞ্চ,সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের ছাড়পত্র, শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত,পথের দাবী, দেবদাস,চরিত্রহীন,মেঝদিদি,নজিবর রহমান সাহিত্যরত্নের আনোয়ারা,প্রেমের সমাধী,গরীবের মেয়ে,ডাঃ লুৎফর রহমানের উন্নত জীবন, মহৎ জীবন, ধর্ম জীবন, পথহারা, প্রীতি উপহার, রায়হান,বাসর উপহার,হুমায়ুন আহমেদের পোকা,বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, কাশেম বিন আবু বক্করের পাহাড়ি ললনা, ক্রন্দসী প্রিয়া,,শেষ বিকেলের তুমি,ফুটন্ত গোলাপ, পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের নকশী কাঁথার মাঠ,ডেলকার্ণেগীর ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও সাফল্যের সহজ পথ, শেক্সপীয়ারের হ্যামলেট, রোমিও জুলিয়েট, নিমাই ভট্টাচার্যের বিদেশি মেম, চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের সংবাদের নেপথ্য ,বেগম রোকেয়ার অবরোধ বাসিনী,অধ্যক্ষ এম. এ. হামিদ টিকের চলনবিলের ইতিকথা, দেখে এলাম অস্ট্রেলিয়া, কর্মবীর সেরাজুল হক সহ আরও অনেক লেখকের বই অধ্যয়ন করেছিলাম।।যা আমার স্মরণে নেই।
স্মৃতিতে স্মরণীয় হয়ে আছে মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ পাঠাগারের উদ্যোগে আয়োজিত বই পড়া প্রতিযোগিতার কথা।সলঙ্গা অঞ্চলের মানুষের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ও অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে জ্ঞানে আলোকিত করার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।পাঠাগার কর্তৃপক্ষের এ মহতী চেষ্টা সত্যিই অতুলনীয় ছিল।এ বই পযয২