শহরে ডিএনসিসি অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ তিন অটো রিক্সা চালকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান এবং তাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

মনা নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গত ১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় মূল সড়কে ব্যাটারি চালিত রিক্সা চলাচল বন্ধের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মূল রাস্তায় চলাচলরত ব্যাটারি চালিত রিক্সা জব্দ করা হয় । অভিযান চলাকালীন সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় অটো রিকশার মালিক মূলত কোন অন্য ব্যক্তি, যিনি রিকশার চালক তিনি নন। তাই এ ধরণের অভিযানে রিকশা চালকদের সচেতন করা হয়।গণমাধ্যেমে তিনি রিক্সা চালকের দুরবস্থা ও আর্তনাদের খবর ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এর চোখে পড়লে তিনি তৎক্ষণাৎ এই তিন রিক্সা চালকদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ডিএনসিসি প্রশাসকের নির্দেশে তাদেরকে খোঁজ খবর নেয়া হয়। আজ বুধবার বিকাল ৪ টায় ডিএনসিসির প্রশাসকের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ তিন রিক্সা চালককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত রিক্সা চালকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু এটা পুনরাবৃত্তি হবে না। যারা ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা বিকল্প আয়ের উৎস্য খুঁজে নেন। ঢাকা শহরের মূল রাস্তায় কোনো রিক্সা চলতে পারবে না।
বুধবার (১৪ মে ২০২৫) অভিযানে ক্ষতিগ্রস্থ রিক্সা চালকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে ডিএনসিসি প্রশাসক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে ও চলাচলকারী নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং দূর্ঘটনা এড়াতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি এসময় উপস্থিত এই চালকদের সাথে কথা বলেন ও ব্যাটারি চালিত অবৈধ্য রিক্সা চালাতে নিরাত্সাহীত করেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরাতে ব্যাটারি চালিত এইসব অবৈধ রিক্সা অপসারণের বিকল্প নাই। সরকার ইতোমধ্যে যাত্রী নিরাপত্তা কথা বিবেচনায় নিয়ে বুয়েট কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারি চালিত রিক্সা প্রস্তুত করতে কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমতি প্রদান করেছে। এইসব রিক্সা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ব্র্যাক প্রায় একলক্ষ রিক্সা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) অভিযানে যাদের রিক্সা জব্দ করা হয়েছে তাদের খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি তারা সবাই বিভিন্ন গেরেজ থেকে রিক্সা ভাড়া নিয়ে রিক্সা চালান কেউই মালিক নন। রিক্সা নিয়ে যে এই অবৈধ্য বাণিজ্য এটা বন্ধ করা হবে। ব্র্যাকের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চালকদের একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একটি বৈধ্য রিক্সা চালানোর লাইসেন্স দেয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ রিক্সা চালকগণ হলেন, বেলকুচি সিরাজগঞ্জের মৃত জুরানের ছেলে মোঃ খলিল, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার মুনসুর আলীর ছেলে রাসেল মিয়া, বাকেরগঞ্জ বরিশালের মাহতাব মৃধার ছেলে সুমন মৃধা।
এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক এই তিনজন রিক্সা চালককে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা সহ ডিএনসিসির কর্মকর্তাবৃন্দ।