রাজশাহীতে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।

লিয়াকত হোসেন রাজশাহী ব্যুরোঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর কুমাপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শুরুতে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কার্যালয়ের পাশে স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ও সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র লিটন বলেন, যে বয়সে শিশুরা মায়ের কোলে রূপকথার গল্প শুনতে চায়, যে বয়সে শিশুরা জাগতিক কিছুর উর্ধ্বে থাকে, সেই বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতি আদরের কনিষ্ঠপুত্র নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ যাতে কোনদিন আর দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে শিশু রাসেলকেও হত্যা করে ঘাতকেরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশের বাহিরে থাকায় মহান আল্লাহর ইচ্ছেই া বেঁচে যান তঁারা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী ও অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
বক্তব্যকালে শাহীন আকতার রেনী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু ও তঁার পরিবারের সদস্যদের হত্যায় জড়িত পলাতক খুনিদের শাস্তি কার্যকর করতে হবে।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুব আদরের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল। তাকেও বঁাচতে দেয়নি খুনিরা। আজ শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকতো তাহলে দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতো, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে পারতো।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বাবুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নকিবুল ইসলাম নবাব, সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক এ.এস.এম ওমর শরীফ রাজীব, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দোলনসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোহেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিবসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।