একটি সেতুর অভাবে কয়েকটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
নুরুল কবির সাতকানিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
কেউ কথা রাখেনি, সবাই আশার বাণী শুনিয়েছে তবে আশা পূরণ করেনি
বলছি দীর্ঘদিনের ভোগান্তিতে থাকা সাতকানিয়ায় লোহাগাড়ার টংকাবতী নদীর পাড়ের দুই এলাকার বাসিন্দাদের কথা।
একটি সেতুর অভাবে কয়েকটি গ্রামের ভোগান্তি সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকা ও লোহাগাড়া উপজেলার জলিল নগর দিয়ে বয়ে যাওয়া টংকাবতী নদীর ওপর দীর্ঘ বছরেও নির্মিত হয়নি সেতু।
ফলে কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী এখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে, কিন্তু সেটিও বর্ষাকালে পানির স্রোতে ভেসে যায়। এতে সাঁতার কেটে এই নদী দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বারদোনা ও জলিল নগর এলাকায় টংকাবতী নদীবেষ্টিত দুই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে মিলিত হয়েছে এই টংকাবতী নদী,এখানে সেতু না থাকায় এই কয়েক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে দুই উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের, শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে গেলে হেঁটে চলাচল করা যায়, এই বারদোনা ও জলিল নগর ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও সেতু হয়নি,এ অবস্থায় প্রতিবছর গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করতে হয় তাদের,তবে সেটিও কিছুদিন পর জরাজীর্ণ হয়ে যায়, এতে ওই সাঁকো দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
জলিল নগর এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই টংকাবতী নদীর ওপার দিয়ে যাতায়ত করতে হয় সাতকানিয়া আদালতে ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজে।
এপারেও অনেক ঘরবাড়ি, সেতু না থাকায় বছরের পর বছর মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও সেতু হয়নি।