পাহাড়ে রবি, এয়ারটেল নেটওয়ার্ক সমস্যায় ভুগছে হাজার হাজার মানুষ কোম্পানি হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

 প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন   |   জনদুর্ভোগ


মোঃ মুবিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:-

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার সিন্দুকছড়িতে টাওয়ার কর্তৃপক্ষের রোশানালে ভুগছে অসংখ্য মানুষ। মেয়াদ উত্তীর্ণের আগে দিনের পর দিন নেট বন্ধ রেখে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা অফিসে কথা বলেও হচ্ছে না কোন সুরাহা।

মোবাইলের সিম রবি, এয়ারটেল নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েননি এমন মোবাইল ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। কোনো না কোনো সময়ে মোবাইলের নেটওয়ার্কের ঝামেলায় পড়তে হয় পাহাড়ের সকলকে। অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনেক সুযোগ সুবিধা হাতছাড়া হয়ে যায়। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ এমনটা হয় যে, জরুরী মূহুর্তে কাউকে ফোন করলে মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকছেনা নয়তুবা নেটওয়ার্কের কারণে ফোনের লাইন বারবার কেটে যাচ্ছে এই হচ্ছে পাহাড়ের গ্রাহকদের অবস্থা।

পাহাড়ে আগের তুলনায় মোবাইল এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে। রবি, এয়ারটেলের সিম ব্যবহারকারী বেশি তবুও কেন হয়রানি জানতে চায় জনগণ সিম নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। কিছু দিন পরপর নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়ে টাইমের আগে মেয়াদ উত্তীর্ণের নামে চুষে নিচ্ছে মানুষের রক্ত ঘামানো লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার মিনিট জিবি।

মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয় যেখানে সবচেয়ে বেশি বাস্তবিক এবং ব্যবসায়িক সুবিধা রয়েছে সেখানে। শহরাঞ্চলে কাছাকাছি অনেক টাওয়ার থাকে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এর দূরত্ব অনেক বেশি থাকে। টাওয়ার থেকে মানুষ যতদূরে অবস্থান করবে, নেটওয়ার্ক তত দুর্বল থাকবে। এরপর ও পাহাড়ে স্বাভাবিকের তুলনায় নেটওয়ার্ক স্পিড একেবারেই কম তবুও মানুষ কষ্ট করে ব্যবহার করছে। এরপরও কেন এত হয়রানি সিম কোম্পানিগুলোর কাছে জানতে চায় জনগণ। এ যেন এক অমানুষিক নির্যাতনের রুলার চালাচ্ছে সিম টাওয়ার কোম্পানি মানুষের উপর। ধস নামিয়ে দিচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, টাকা পয়সার লেনদেন এবং কি সুখ দুঃখের টানা পড়ায়। নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাহাড় অঞ্চল।

এদিকে একজন কাঁচা ব্যবসায়ী মোঃ রাসেল বলেন, তার রবি সিমে বিকাশ একাউন্ট, নগদ একাউন্ট থাকার কারণে ৯দিন লেনদেন আটকে আছে এবং ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় বেকারত্বের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানান।

অপরদিকে আরেকজন বিকাশ, নগদ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, এই পাহাড় অঞ্চলে রবি, এয়ারটেল সিম শতকরা ৯০% মানুষ ব্যবহার করে তবে নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকার কারণে আমাদের লেনদেন বন্ধ দোকানে এসে বসে, ঘুমিয়ে সময় কাঁটাতে হচ্ছে। এরকম আর কয়েকদিন চলতে থাকলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মানুষের ক্ষেতখামারে কাজ করতে হবে বলে জানান।

গুইমারা উপজেলার মধ্যে রবি, এয়ারটেলের সকল টাওয়ার গুলো খোলা থাকলেও বন্ধ হয়ে আছে সিন্দুকছড়ি সেনাবাহিনীর জোনের ভিতরে থাকা টাওয়ারটি তবে ঐ একই টাওয়ার থেকে নতুন আসা গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক সার্ভিস চালু আছে।

অসংখ্য গ্রাহক রবি, এয়ারটেল নেটওয়ার্ক অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ খাগড়াছড়ির গুইমারা থানা চিনেনা বলে জানায়। তখন পার্শ্ববর্তী থানার লোকেশন দিয়ে অভিযোগ করলেও মিলছেনা নেটওয়ার্ক। এই সমস্যা দুএকদিনের মধ্যে সমাধান না হলে গুইমারা, সিন্দুকছড়ি নেটওয়ার্কের আওতাধীন সকল গ্রাহক রবি, এয়ারটেল সিম বয়কট করবে বলে হুঁশিয়ারি করেন।

জনদুর্ভোগ এর আরও খবর: