মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য প্রয়োজন নাই : আরএমপি কমিশনার

লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) নতুন কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের নিজেদের ভুল-ত্রুটির দায় নিজেদেরকেই নিতে হবে। কোনভাবেই ব্যক্তির দ্বায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান নেবে না। কোন মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য প্রয়োজন নাই। মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার (১২সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার সময় রাজশাহী পুলিশ লাইন মাঠে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে আবু কালাম সিদ্দিকের যোগদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কমিশনার বলেন, পুলিশি সেবার মূল কেন্দ্র হচ্ছে থানা। প্রতিটি থানাকে নিবিড় মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি সেবা প্রদানের সূচক বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। থানার পরিচালিত কিছু কর্মকাণ্ড আধুনিকায়ন করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের যুগে তথ্যের প্রবাহ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহারে থানার নিয়মিত যেসব কর্মকাণ্ড আছে, যেমন তদন্ত, ওয়ারেন্ট, দরখাস্ত ও জিডি। এগুলোকে মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি আরও বলেন,সকল বিষয় নগর পুলিশ কার্যালয় থেকে মনিটর করা হবে। থানায় কে আসলো, কে গেলো। থানা যেহেতু পাবলিক অফিস, তাই যে কেউ আসতে পারবে। পুলিশের কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত কোনও হস্তক্ষেপ হচ্ছে কিনা তার কঠোরভাবে লক্ষ করা হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকরা নগরীর বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, সকল বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। সেইসাথে সাংবাদিকদের তিনি সহোযোগিতা কামনা করেন। এসময়ে তিনি বলেন,
বিশ্বের অনেক নগরীতে সেইফ সিটি কনসেপ্ট নামে একটি কথা আছে। ঢাকা মহানগরীতে প্রথম পর্যায়ে এটি বিশাল কর্মযজ্ঞ হাতে নেওয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে এখন তা এলাকাভিত্তিক বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। পুলিশের সীমিত সামথর্য, সাংবাকিদের সহযোগিতায় রাজশাহীতে এটি শুরু করতে চান তিনি। বিদ্যমান যেসব কাজ আছে সেগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করে সেবার আওতা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান এই নয়া কমিশনার।