টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল!।

আউয়াল ফকির
বার্তা সম্পাদক
উত্তেজনাপূর্ণ এক ফাইনালে চিটাগং কিংসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেও জয়ের স্বাদ পায়নি চিটাগং কিংস।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
চিটাগং কিংস:
কাওয়াজা নাফি: ৪৪ বলে ৬৬ রান
পারভেজ ইমন: ৪৯ বলে ৭৮ রান
গারাহাম ক্লিক: ২৩ বলে ৪৪ রান
শামিম হোসেন: ২ বলে ২ রান
ফরচুন বরিশাল:
তামিম ইকবাল: ২৯ বলে ৫৪ রান
তাওহীদ হৃদয়: ২৮ বলে ৩২ রান
ডাওয়াত মিলান: ২ বলে ১ রান
কেয়াল মার্যাস: ২৮ বলে ৪৬ রান
মুশফিকুর রহিম: ৯ বলে ১৬ রান
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ: ১১ বলে ৭ রান
মোহাম্মদ নাবি: ৪ বলে ৪ রান
রিয়াদ হোসেন: ৬ বলে ১৮ রান
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং কিংস দারুণ শুরু করে। পারভেজ ইমন ও কাওয়াজা নাফির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে তোলে দলটি। গারাহাম ক্লিকের ঝড়ো ইনিংসে রান আরও বাড়ে। তবে শেষ দিকে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চিটাগং কিংস ২০ ওভারে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল দারুণ শুরু করে। তামিম ইকবাল ও কেয়াল মার্যাসের ঝোড়ো ব্যাটিং দলকে জয়ের পথে রাখে। মাঝে কিছুটা চাপে পড়লেও মুশফিক ও রিয়াদ হোসেনের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল।
গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস, বরিশালের জয়োৎসব!
ম্যাচের শেষে গ্যালারিতে ছিল বরিশালের সমর্থকদের বাঁধভাঙা উল্লাস। বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতায় মাঠে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। বরিশালের সমর্থকরা বিজয়ের আনন্দে মিছিল বের করেন, যা গ্যালারি থেকে শুরু করে পুরো স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে যায়।
ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন খেলা বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। খেলা শেষে তিনি বলেন, "এটি ছিল একটি দুর্দান্ত ফাইনাল। দুই দলই অসাধারণ খেলেছে, তবে বরিশাল তাদের দৃঢ় মানসিকতার কারণে জিততে পেরেছে। এই জয় বরিশালবাসীর জন্য গর্বের!"
এই রোমাঞ্চকর ফাইনাল ম্যাচটি বিপিএলের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, যেখানে ফরচুন বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে গায়ে সোনালী স্টার তুললো!