কালকিনিতে বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদারীপুরের কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য বাচ্চু ফকির(৬০) ও তার পরিবারকে বারবার মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয়সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানাযায়, মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া এলাকার আশরাফ আলী শিকদারের স্ত্রীর সাথে সাথে এলাকার অনেকেরই অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ থেকেবাচ্চু ফকিরের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। পরে এ বিষয় নিয়ে আশরাফ আলী শিকদার তার স্ত্রীকে শারিরীকঅত্যাচার করলে পেটের দায়ে লুকিয়ে ঢাকা গিয়ে চাকরি করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে থাকা শুরু করেন তার স্ত্রী। সেইসুযোগে আশরাফ আলী শিকদার তার স্ত্রী সন্তানদের গুম করেছে এমন অভিযোগ এনে বাচ্চু ফকিরের নামে কোর্টেএকটি অপহরণ মামলা করেন। পরে পুলিশ আশরাফ আলী শিকদারের স্ত্রী সন্তানদের ঢাকা থেকে উদ্ধার করলেতার স্ত্রী চাকুরির জন্য সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় ছিলেন বলে স্বীকারউক্তি দিলে আদালত মামলাটি খারিজ করেদেন। এর পরে বিভিন্ন সময়ে বাচ্চু ফকিরের নামে মারধর, অনৈতিক সম্পর্ক সহ তিনটি মামলা দিয়ে হয়রানিকরলেও অভিযোগ প্রমাণ না হওয় মামলা গুলো খারিজ হয়ে যায়।
সম্প্রতি গত শুক্রবার বাচ্চু ফকির দুপুরে গোছল করে আশরাফ আলী শিকদারের বাড়ির উপর দিয়ে রওনা দিলেহাটার জন্য বাধা দেয়য় প্রথমে দুজনের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশরাফ আলী শিকদারবটি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে গেলে তাকে থামাতে এলাকাবাসি তার হাত-পা বেঁধে কালকিনি থানায় খবর দেয়। পরেখবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রতিবেশী পরশ মনি বলেন, আশরাব আলী শিকদারের স্ত্রীকে নিয়েই আসলে এই ঘটনা। তার ধারনা এইএলাকার আশেপাশের অনেক পুরুষের সাথেই তার স্ত্রীর অবৈধ মেলামেশা। এসব নিয়ে আশ্রাব আলী শিকদারতার স্ত্রীকে অত্যাচার করতো আমরা অনেক ফিরাইছি মারামারি। আশ্রাব আলী শিকদারের স্ত্রী পেটের দায়েকাজের জন্য ঢাকায় যায় অথচ মাসুদ ও বাচ্চু তাকে দিয়ে অবৈধ ব্যাবসা করায় এসব অভিযোগে মামলা করে কোর্টেযা এখনও চলতাছে। শুক্রবার ঐ ঘটনার জেরেই আশ্রাব আলী শিকদার বটি নিয়ে বাচ্চু ফকিরের সাথে গ্যাঞ্জামকরে।
স্থানীয় যুবক মাসুদ পারভেজ বলেন, আশ্রাব আলী শিকদার জুয়া খেলে অনেক টাকার হয়রানি হইছে তার মাথায়ওএকটু সমস্যা আছে। সে মামলাবাজ হয়ে গেছে কারনে অকারনে কোর্টে গিয়ে এলাকার মানুষদের মামলা দিয়েহয়রানি করে আসছে।
এলাকাবাসি আলম শিকদার বলেন, আশরাফ শিকদারের মাথায় একটু সমস্যা আছে সে বটি দিয়ে বাচ্চু ফকিরকেকোপ দিতে গেলে সবাই বেধে আটকে রেখে পুলিশ খবরদিলে পুলিশ এসে মিমাংশা করে দিয়ে গেছে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বাচ্চু ফকিরের স্ত্রী বলেন, আশ্রাব আলী শিকদারের সাথে লাউগাছ নিয়ে আমাদের কোনদ্বন্দ্ব হয়নি বা তার ছোট মেয়েকে কেউ অত্যাচার করেনি তবু আমার স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যাতথ্য দিয়ে সংবাদ তৈরী করেছে তার সুষ্ঠ তদন্ত ও বারে বারে কোর্টে মামলা দিয়ে এমন হয়রানি করানোর জন্যপ্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন শিকদার বলেন, কোন ভিক্টিম যদি প্রশাসনের সহযোগীতা চায় প্রশাসনতদন্ত সাপেক্ষে এখানে তারা সুষ্ঠু সমাধান দিবে।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার পুলিশ পরিদর্শক ফয়সাল হাসান সনেট বলেন, থানায় অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থলেগিয়ে দেখতে পাই ষাটউর্ধ একজন বৃদ্ধ হাত-পা বাধা অবস্থায় শুয়ে আছে। পরে উপস্থিত লোকদের রাগারাগি করেতার বাধন খুলে পানি খাইয়ে চেয়ারে বসাই। তিনি বলেন, স্থানীয়রা জানায় বাচ্চু ফকির দুপুরে গোসল করেআশরাফ আলী শিকদারের বাড়ির উপর দিয়ে রওনা দিলে বটি নিয়ে উত্তেজিত হয় এসময়ে তাকে স্থানীয়রা বেঁধেথানায় ফোন দেয়। পরিস্থিতি শান্ত করে আশরাফ আলী শিকদারের মেয়ের জিম্মায় তার বাবাকে দিয়ে আসি।আমরা চলে আসা র্প্রযন্ত তার মেয়েকে কেউ র্নিযাতন করেনি। তার পরে কি হয়েছে কিনা জানিনা বলে জানানতিনি।