অবৈধভাবে অসংখ্য সরকারি গাছ কাটলো স্থানীয় মাস্তানরা।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সম্প্রতি পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের রানীনগর এলাকার ৭/৮ টি আকাশ মনি গাছ কেটে নেয় স্থানীয় গাছখেকোরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাংবাদিকদের একটি দল বিষয়টি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেন। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে উল্লাপাড়া অফিসের দায়িত্বে থাকা এস,ও কামাল হোসেনকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দেন। এস,ও কামাল হোসেন সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা সহ জড়িতদের নাম,ঠিকানা সংগ্রহ করেন।গাছখেকোরা কর্তনকৃত গাছগুলো যেখানে লুকিয়ে রেখেছিল,উদ্ধার করতে গিয়ে গাছের গুড়িগুলো আগের রাতে অন্যত্র সরিয়ে যাওয়ার প্রমানও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন এস,ও কামাল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এস,ও কামাল হোসেন প্রথমে উল্লাপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও ঘটনাস্থল সলঙ্গার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পুণরায় সলঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে সলঙ্গা থানার এসআই ইয়াসিন সরেজমিনে তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে গাছকাটার সত্যতার প্রমান পায়। তদন্তের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের এস,আই ইয়াসিন জানান, মহাসড়কের গাছ কাটার প্রমান মিলেছে, এখন যদি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন তবেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা রুজুর বিষয়ে গত ১০ মার্চ তারিখে এস,আই ইয়াসিনের সাথে কথা বললে জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এস,ও কামাল হোসেন অভিযোগটি দায়েরের পর হতে আজ পর্যন্ত দেখা নাই। তাই বাদী ছাড়া মামলা রেকর্ড করতে পারছি না। এরপর হতে সাংবাদিকরা বারবার এস,ও কামাল হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে এস,ও কামাল ফোন রিসিভ করেন না। পরে একদিন ফোন ধরলে তিনি বিরক্তির সুরে বলেন,সরকারের কত কোটি কোটি টাকা অফিসাররা মেরে খাচ্ছে,কিছুই হচ্ছেনা। আর মহাসড়কের সামান্য ৫-৭ টি গাছের পিছনে আপনাদের এত ফোন, বলেই কেটে দেন। সরকারি সম্পদ রক্ষা তো দুরের কথা, কামাল হোসেন একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন বক্তব্যে গাছ কাটা মামলার রহস্যের বেড়াজালে আটকা পড়বে বলে সচেতনদের মধ্যে নানা সমালোচনা চলছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম বলেন, আমি এস,ও কামাল হোসেনকে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছি। কেন এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি বিষয়টি দেখছি।