নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের ভালোবাসা

 প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন   |   জেলার খবর


স্টাফ রিপোর্টার,আলোচিত বার্তা,

তারা সবাই প্রবীণ।জীবনের শেষ দিনগুলো পাড় করছেন। এখন তাদের বিশ্রামের সময়। পরিবারের সাথে হেসে খেলে দিন কাটানোর সময়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তারা এখন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের সবার ঠাই হয়েছে নীলফামারি জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে। 


এখানে তাদের দেখভাল করেন ব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান সাজু। তিনি এই বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা। তার একান্ত প্রচেষ্টা ও সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় ২০১৮ সাল থেকে নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমটি প্রবীণদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। 


নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রবীণরা কেমন আছেন? কেমন কাটছে তাদের দিন?মূলত তাদের খোজখবর নিতে ১২ ই নভেম্বর শনিবার নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের সদস্যদের আগমন। 


এসময় তারা সাথে করে একদিনের বাজার-সদাই নিয়ে আসে।এরমধ্যে ছিলো পোলাও চাল, ডাল, আলু, তেল ও গরুর মাংস। যথারীতি শুরু হয় দুপুরের রান্না।বৃদ্ধা মায়েরা রান্না করেন, আর তাদের সহযোগিতা করেন স্বেচ্ছাসেবকরা।পরে নিজ হাতে পরিবেশন করেন সংগঠনের সদস্যরা।


এরপর সবাই একসঙ্গে গোল হয়ে বসেন। নিজেদের জীবনের সুখদুঃখের গল্পগুলো শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের সদস্যদের সাথে ভাগাভাগি করেন। তাদের কেউ এখানে একবছর ধরে আছেন, কেউবা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আছেন৷ তাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা নেই। নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমেই তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। 


এখানে তারা মোটামুটি ভালোই আছেন। তিনবেলা খাবার পাচ্ছেন। অসুখবিসুখ হলে চিকিৎসা পাচ্ছেন। সর্বপোরি সাজেদুর রহমান সাজুর মতো একজন সন্তান পেয়েছেন। যিনি রক্তের সম্পর্কের কেউ না হয়েও তাদের পরম যত্নে আগলে রেখেছেন। নিজের সর্বস্ব দিয়ে হলেও বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের ভালো রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 


দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল। গল্পগুজব শেষ। শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের সদস্যদের ফেরার পালা। এসময় তারা নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের ১৫ জন স্থায়ী বাসিন্দার হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেয়। শিক্ষানগরী সৈয়দপুরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খুরশিদ জামান কাকনের নেতৃত্বে পুরো আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এডমিন-মোডারেটর প্যানেলের সদস্য আমির খান, রাজু ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক জহির রায়হান শিশির, নাজমুল হক ও শরিফুল ইসলাম।

জেলার খবর এর আরও খবর: