কালকিনিতে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া মেয়র প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, শেখ লিয়াকত আহমেদ৷
মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ চলছে, ভোটারদের প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেনি বিগত কোন মেয়েরই৷ তাই এবার জনবান্ধন মেয়র চায় পৌরবাসী৷
গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নিয়মানুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বর মাসে মেয়াদ শেষ হবে এবং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নির্বাচন।
কালকিনি পৌরসভানির্বাচনে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় কেন্দ্রিয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও। পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও।পৌরসভার অলিগলি তাদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থীরা অংশ গ্রহণের পাশাপাশি ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতাসহ দলীয় মনোনয়নের আশায় জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।য়
আসন্ন ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে প্রার্থীরা ভোটারদের যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি, তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে নিজের পাল্লা শক্তিশালী করতে চালিয়ে যাচ্ছেন তোড়জোর। এদিকে ভোটাররাও এবার যেন একটু নড়ে চড়ে বসেছেন। তাদের প্রত্যাশা সৎ, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী প্রতিনিধি নির্বাচন। সব মিলিয়ে বেশ জমে উঠেছে কালকিনি পৌর এলাকার নির্বাচনী মাঠ।
তাই এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় এবং খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন সময় কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। প্রার্থীদের কেউ কেউ জনগণের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন যাবৎ।
এদিকে মনোনয়নের প্রত্যাশায় কেন্দ্রের সাথে লবিং করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা৷
খোজ নিয়ে জানা গেছে ১৯৯০-১৯৯৩ সালের তুখোড় উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার লোকমান হোসেন দলীয় মনোনয়নের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে৷ করোনাকালীন সংকটময় সময়ে পৌরবাসীর দ্বারেদ্বারে ত্রাণ পৌঁছে দেয়াসহ সুখ-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে পৌরবাসী ও দলীয় ভাবে গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করে অনেকে৷ তিনি কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী৷
বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনায়েত হোসেন হাওলাদার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী৷
দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি তৃতীয় বারের মতো মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা করেন তিনি৷
এছারাও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, তিনিও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে ভোটার ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন৷
উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সদস্য শিল্পপতি এস এম হানিফ, কালকিনি পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা প্রসাশক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত সরদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল সরদারসহ প্রায় ডজন খানেক নেতা সরকার দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন।
অপরদিকে তবে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কারো নাম শোনা না গেলেও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা মোতাবেক মেয়র প্রার্থী চুড়ান্ত হবে জানান স্থানীয় বিএনপি নেতারা৷
২৭বর্গকিলোমিটার আয়োতনের ৩৩ হাজার ৫শ ৫৭জন ভোটারের এই পৌরসভায় প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ যখন তুঙ্গে তখন ভোটারদের প্রত্যাশা যোগ্য মেয়র নির্বাচন। তাই যাচাই-বাছাই করে যাকে দিয়ে পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে তাকেই নির্বাচিত করতে চান পৌর এলাকার ভোটাররা।
কালকিনি পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে একজন যোগ্য মেয়র নির্বাচিত করতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন সাধারণ ভোটাররা। এমতাবস্থায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিক ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার সুযোগ দিবে নির্বাচন কমিশন এমনটাই প্রত্যাশা ভোটারদের।