যশোরে পুলিশ সদস্যদের ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ও বডিঅর্ন ক্যামেরা বিতরণ করেন পুলিশ সুপার

 প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৫:৩২ অপরাহ্ন   |   খুলনা



আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব‍্যুরো প্রধান।।


যশোরের পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের মাঝে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার সকাল ১১ টার সময় ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ও বডিঅর্ন ক্যামেরা বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা পুলিশ সদস্যদের মাঝে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ও বডিঅর্ন ক্যামেরা বিতরণ করেন।


এ সময় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আইজিপি মহোদয় পুলিশ সদস্যদের ক্ষুদ্রাস্ত্র বহনের জন্য ট্যাকটিক্যাল বেল্ট এর ব্যবস্থা করেছেন। ছয় চেম্বারের আধুনিক এই ট্যাকটিক্যাল বেল্টে থাকবে পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, এক্সপেন্ডেবল ব্যাটন, পানির বোতল, টর্চ লাইট ও ওয়ারলেস। সর্বাধুনিক এই অপরারেশনাল গিয়ারে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট, স্মল আর্মস উইথ থাই হোলেস্টার ও হ্যান্ডস ফ্রি কমিউনিকেশন যুক্ত করা হয়েছে। যা ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যরা ডিউটিকালীন অধিক সক্রিয় ভাবে তাদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে। 


সেই সাথে পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতার জন্য আধুনিক বডিঅর্ন ক্যামেরার সংযুক্ত করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা পুলিশকে ৮০ টি ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ও ৩১ টি বডিঅর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পুলিশ সদস্যদের ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ও বডিঅর্ন ক্যামেরা দেওয়া হবে।


ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ব্যবহারের ফলে উন্নত দেশের পুলিশের ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশের গেট আপে পরিবর্তন আসবে, পুলিশের দক্ষতা বাড়বে এবং জনগণকে আরো সহজে দ্রুততার সহিত সেবা দিতে পারবে। 


সেই সাথে বডিঅর্ন ক্যামেরা বিশেষ করে অভিযানে এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের শরীরে লাগানো থাকবে। কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে ট্রাফিক বিভাগ এবং থানা পর্যায়ে কর্মরত সদস্যদেও বডিওর্নক্যামেরা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পুলিশ যশোর। বডিওর্নক্যামেরার মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রম নজরদারি করা হবে। পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহি আনতে এই উদ্যোগ।একজন পুলিশ সদস্য এই মুহূর্তে কোথায় আছেন, কি দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা বডিওর্ন ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে। পুলিশের কার্যক্রম রেকর্ডেও থাকবে।এসব ক্যামেরা ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভি ক্যামেরার কাজ করবে। বডি ওর্ন ক্যামেরা থাকলে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদের অগোচরে কিছু বাদ পড়লেও ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া তথ্য ও ছবি কাজে দেবে। এই ক্যামেরা অডিও, ভিডিও এবং ছবি তুলতে পারবে। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো স্থানে বসেই সবকিছু তদারকি করা যাবে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ বা হামলা করলে সেগুলোর রেকর্ড থেকে যাবে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পূন্ন ও স্মার্ট পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহন করছে সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় সারাদেশে চালু হচ্ছে পুলিশের বডিওর্নক্যামেরা ও ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ব্যবস্থা বলে তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 


এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম, অতিঃ পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্), অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির, জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি), মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “ক” সার্কেল, জুয়েল ইমরান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, “নাভারন” সার্কেল, আশেক সুজা মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার, মনিরামপুর সার্কেল, এএসপি আলী আহমেদ হাশমী, হাইওয়ে সার্কেল।


সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(প্রশাসন), আরও-১, রিজার্ভ অফিসসহ জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তা, অফিসার ও ফোর্সগণ।


এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আরিফুল ইসলাম নির্বাহী প্রকৌশলী যশোর।

খুলনা এর আরও খবর: