সুনামগঞ্জের ছাতকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি এখনো অধরা

 প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২২, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত







ক্রাইম রিপোর্টঃঃ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাধীন বানারশিপুর গ্রামের সুরুজ ও তাজুদ মিয়া নামের ২ সন্ত্রাসী অত্যান্ত নির্মমভাবে হত্যা করে বশির উদ্দিন এর ছেলে হাফিজ উদ্দিন কে। ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হাফিজ উদ্দিন কে হত্যা করা হয়েছে বলে ফরেনসিক রিপোর্টে প্রকাশ পায়।




গত ৬ জুলাই ২০১৫ সালের বিকাল ৪ ঘটিকার সময় বাংলা বাজার নামক জায়গায় ছাতক উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের সেইদিন একটা সভা সমাবেশ ছিল, 


হত্যার দিন ৬ জুলাই ২০১৫ তারিখ বিকাল ৫ ঘটি কার সময় নিহত হাফিজ উদ্দিন তাহার সহপাঠী ইদ্রিস মিয়া,তামজিদ আলী সহ ঘটনাস্থল বাংলাবাজার চৌমুহনী রাস্থা হয়ে আসার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুরম্নজ আলী উক্ত বিএনপির সভায় রাজনৈতিক বিরোধিতার জের ধরে নিহত হাফিজ উদ্দিনকে দেখিয়া মারধর করার জন্য উদ্দ্যত হয়, 


তখন হাফিজ উদ্দিন প্রাণ ভয়ে তাহার সহপাঠীদের করে নিয়ে দৌড়াইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করিলে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুরম্নজ আলী ও তাহার ভাই তাজুদ মিয়ার নেতৃত্বে আঃ ছালাম,আঃ আজিম,সিরাজ মিয়া, শওকত আলী, এজাজ মিয়া আছকন্দর আলী, শামসুন নূর, শামসু মিয়া, মামুন আহমদ, আব্দুল আজিজ মহ ৯/১০ জন মিলিয়া সুরম্নজ আলী সহ সবাই মিলে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র দিয়া আঘাত করে, মরে গেছে ভেবে ঘটনা স্থলে ফেলে যায়,  


পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন হাফিজ উদ্দিন কে চিকিৎসার জন্য ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজ উদ্দিনকে মৃত ঘোসনা করেন৷ 


হাফিজ উদ্দিনের পিতা বাদি হয়ে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 


উক্ত অভিযোগ এর বিচার কার্জ শুরু হলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের চুড়ান্ত শুনানিতে ঘোষণা করা হয় যে আসামিগন প্রকৃত অপরাধী, বিএনপির ক্যাডার এবং তাহারা হাফিজ উদ্দিন কে হত্যা করিবার উদ্দেশ্য সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়া উপর্যুপরী আঘাত করিয়া হত্যা করিয়াছে যাহা স্বাক্ষী দের জবানবন্দ্ধীতে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত হইয়াছে।


উক্ত মামলার ১,২,৪,৫,৬,৭,৯,১০ নং আসামীকে বাংলাদেশ দন্ড বিধি আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জাজ সুরুজ আলী তাজুদ মিয়া ও আঃ ছালাম কে ফাঁসির আদেশ দেন এবং অপরাপর বাকি আসামীকে লাইফ সাজা প্রদান। 


কিন্তু অদৃশ্য কারণে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো অধরা।

আইন আদালত এর আরও খবর: