মাগুরাকে গ্রীন মাগুরা ক্লিন মাগুরায় পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন রফিকুল ইসলাম কামাল।

 প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২০, ১১:২৬ অপরাহ্ন   |   জাতীয়


মাগুরা সংবাদদাতাঃ

 ইতিমধ্যে মাগুরাতে জমে রসউঠেছে পৌরসভা নির্বাচনের আমেজ, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে এবার নতুন চমক রফিকুল ইসলাম কামাল। আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম কামাল একেবারেই আলাদা। কামাল একধারে যেমন শিক্ষিত, সদালাপী ও সৃজনশীল মন-মানসিকতার, অন্যদিকে তার রয়েছে বংশ পরম্পরায় আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস।



মোঃ রফিকুল ইসলাম কামাল ১৯৮০ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে মাগুরা মোল্লাপাড়া এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব মোঃ গোলাম মওলা মোল্লা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, তার মাতা আখেরা খানম মাগুরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভানেত্রী।

 ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সপরিবারে শাহাদৎ বরণ করেছিলেন, তখন বাংলাদেশের যে কয়টি স্থানে বিদ্রোহ হয়েছিল মাগুরা তার মধ্যে অন্যতম। বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে তৎকালীন মাগুরা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক গোলাম মাওলা মোল্লা মাগুরা থানা অস্ত্রাগার ভেঙে মাগুরাতে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এরপর স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন জেল-জুলুম হুলিয়া উপেক্ষা করে মাগুরা মোল্লাপাড়া, খানপাড়া ও তাতিপাড়া এলাকাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলেন যা আজও অব্যাহত রয়েছে। কামালের পিতা গোলাম  মওলা মোল্লা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তানদের নামে নিজের সন্তানদের নাম রাখেন "কামাল" ও "রাসেল"। ২০০২ সালে বিএনপি জোট সরকারের আমলে মাগুরাতে শেখ হাসিনা আগমন করেন কিন্তু তৎকালীন সরকার সমাবেশ করতে বাধা দেয়, তখন গোলাম মওলা মোল্লার নেতৃত্বে মাগুরা পিটিআই মাঠে শেখ হাসিনা সফলভাবে সমাবেশ করেন। 


রফিকুল ইসলাম কামালের পরিবারে রয়েছে বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাস বিশেষ করে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এবং বিরোধী দলে থাকাকালিন সময়ে তার পরিবারের সকল প্রতিরোধ, প্রতিবাদ ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করেছে যা সর্বজনবিদিত। কামালের ছোট চাচা আওয়াল হোসেন মোল্লা মাগুরা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ন আহবায়ক ও আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার আরেক চাচা আলহাজ্ব আকরাম হোসেন মোল্লা মাগুরা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ ১৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। কামালের চাচাতো ভাই নাজমুল হাসান জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার ফুপাতো ভাই মকবুল হাসান মাকুল জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাগুরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 


দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে  ১৯৯৫ সালে রফিকুল ইসলাম কামাল মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কিশোর কমান্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই অত্যন্ত মেধাবী কামাল প্রত্যেক শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করতেন। অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত, এসএসসিতে ১৯৯৬ সালে মাগুরা জেলার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত এবং সে বছর মাগুরা থেকে একমাত্র ছাত্র হিসেবে ঢাকা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।  ১৯৯৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন এবং তিনি ২০০০ সালে জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন হেলিকপ্টার পাইলট। কর্মজীবনে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সহ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এস এস এফ) এর ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কোয়াড্রন লিডার (মেজর পদমর্যাদা) হিসেবে চাকরি জীবন শেষে বেসরকারি কোম্পানিতে হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 



মাগুরা তৃনমূল আওয়ামী লীগের প্রবাদ পুরুষ ও শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত অনুচর গোলাম মওলা মোল্লা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার স্বপ্ন পূরণে  রফিকুল ইসলাম কামাল "গ্রীন মাগুরা ক্লিন মাগুরা" গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মাগুরা পৌরসভাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশ বান্ধব ও পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলার মানসে আসন্ন মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর সেনা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পাইলট মোঃ রফিকুল ইসলাম কামাল মাগুরাবাসীর দোয়া এবং সমর্থন চান।

জাতীয় এর আরও খবর: