রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার আসামি ৩ দিনেও গ্রেফতার হয়নি।

 প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২০, ০৮:২৩ অপরাহ্ন   |   জাতীয়


লিয়াকত,হোসেন রাজশাহী ব্যুরোঃ  রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার আসামি ৩ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি  কাটাখালী থানা পুলিশ। তীব্র চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।


উল্লেখ্য, রাজশাহী পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড জয়পুর গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াজ আলীর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গত বুধবার কাটাখালী থানায়  মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হরিয়ান ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াজ আলীর মেয়ে আশা (১৬) টিউবওয়েল পানি আনতে গেলে অভিযুক্ত শাহিনুর আগে থেকে ওত পেতে থাকে সুযোগ বুঝে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে দরজার এক কোণে লুকিয়ে থাকে মেয়েটি যখন ঘরে পানি নিয়ে প্রবেশ করে তখন শাহিনুর ঘরের দরজার খিল লাগিয়ে দেয় এবং জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে একপর্যায়ে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও তার ভাইয়ের ছুটে এসে  লাথি মেরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে উলঙ্গ অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। 


এক পর্যায়ে মেয়েটির ভাই চড় থাপ্পড়  মারতেই মোবাইল ফোন ফেলে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায় একই গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম (২৮)। এবং হুমকি দেয় যে পুলিশকে বা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে।


 এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাঁড়া মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। তা না হলে গ্রাম থেকে বেড় করে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে তারা নিরুপায় হয়ে জোরপূর্বক বিচার সালিশ বসিয়েছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি মোঃ হযরত আলী ও তার ছেলে রুবেল হোসেন। 

তারা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ছেলেটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০ টি বেত্রাঘাতের রায় দেয়।


 ধর্ষিতার পরিবার এই রায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিচারকার্য চলা অবস্থাতেই বিচারক মন্ডলীরা ধর্ষিতার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এবং এ রায় মেনে না নিলে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে।

এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে মার খেয়ে পালিয়ে এসে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এবং থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মারপিট ও ধর্ষণের দুটি মামলা দায়ের করা হয়।


 এ বিষয়ে, কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিল্লুর রহমান জানান, থানায় মামলা রুজু হয়েছে। ওই মেয়ের মেডিক্যাল চেকআপ ও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আসামিকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয় সে বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

জাতীয় এর আরও খবর: