গুরুদাসপুরের আলিপুর দাখিল মাদ্রাসার জলাবদ্ধতা নিরসন ও এম,পিও না হওয়ায় শিক্ষক/কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন।

জাহিদ হাসান নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরের আলিপুর দাখিল মাদ্রাসা জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে বছরের প্রায় ৮ মাস। মাঠের নিচু জায়গা ও অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। তারপরও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মচারীরা একাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়ার ২৪ বছর পরও বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন। মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায় ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর হতে ২৪ কিলোমিটার পশ্চিমে আহমেদপুর বড়াইগ্রাম সড়ক সংলগ্ন আলীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এই মাদ্রাসা। তৎকালীন সময়ের মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহিম আধাম এলাকার অবহেলিত মানুষদের ধর্মীয় শিক্ষার কথা ভেবে তাদের এক একর জমির ওপর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রথমে ফোরকানিয়া পাঠদান করানো হতো প্রতিদিন সকালে । পরে এবতেদায়ী হওয়ার পর প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায় । এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ২০ জন শিক্ষক/ শিক্ষিকা সহ ২৭০ জন শিক্ষার্থী সরকারের সকল নিয়ম-নীতি মেনে পাঠদান করাচ্ছেন । প্রতিবছর সন্তোষজনক ফলাফল করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি । আলিপুর দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মোঃ আশরাফুল আলম জানান বছরের প্রায় ৮মাস এই প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ সহ মাঠে জলাবদ্ধতা থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো সম্ভব হয় না। মাঠে অনেক সময় কোমর সমান পানি থাকে তারপরও দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর যাবত ২০ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা বিনা বেতনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছে। এখনো প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়নি । আর কতদিন এভাবে বিনা বেতনে পাঠ দান করবে শিক্ষকরা । ২০০১ সালে টিয়ার কর্তৃক একটি অনুদান দিয়ে মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আলিপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীরা বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছে। প্রতিবছর সন্তোষজনক ফলাফল লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি। মাদ্রাসা মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাহত হয়। মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মাষ্টার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন পায় না। তারপরও বছরের প্রায় আট মাস জলাবদ্ধতা থাকে । এ কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে যথেষ্ঠ পরিমানে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভুক্ত সহ জলাবদ্ধতা দূর হলে শিক্ষার মান আরো ভালো হবে। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।