আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বহুগ্রাম ইউনিয়নের জনগণ নৌকা প্রতিকে কাজী ওহিদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই

 প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি


মোঃ নাসিম খানঃ-

আসন্ন-২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বহুগ্রাম ইউনিয়নের জনগণ কাজী ওহিদুল ইসলামকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী,মাদার অফ হিউম্যানিটি, গণতন্ত্রের মানুষ কন্যা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূণ্যভূমি গোপালগঞ্জ জেলা এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও গোপালগঞ্জ-১ আসন (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী) নির্বাচনী এলাকার  মুকসুদপুর উপজেলার ৫নং বহুগ্রাম ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বলনারায়ন গ্রামের কাজী গোষ্ঠির কৃতি সন্তান, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক রাজপথের সফল প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য, গোপালগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (জিইউজে) এর সদস্য, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজের মুকসুদপুর উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলাম (কাজী ওহিদ)কে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নে বহুগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে এলাকার সাধারন মানুষ চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশাী এবং চেয়ারম্যান দেখতে চাই।  এলাকার তরুণ, নম্র, ভদ্র, বিনয়ী এবং সাহসি ছেলে হিসেবে মুকসুদপুর উপজেলাসহ সারা বাংলাদেশব্যাপী যার একটি সুনাম রয়েছে। আচার আচারন ও ব্যবহারে ধনী, গরীব, ঋসি, মুছি, মাঝি,কামার,কুমার,হিন্দু ও মুসলমানদের সাথে রয়েছে তার গভীর থেকে গভীর সম্পর্ক। একজন মানুষ হিসেবে, একজন বঙ্গবন্ধু'র আর্দশের কর্মী, স্থানীয় সাংসদ মুহাম্মদ ফারুক খানের সৈনিক হিসেবে এবং একজন দলের নেতা হিসেবে যে ধরনের ব্যবহার বা গুনাবলী মানুষের  থাকা প্রয়োজন আমরা কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলামের মধ্যে তা দেখতে পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের আর্দশে বিশ্বাসী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু'র  প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গোপালগঞ্জ -১ (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী) এলাকার বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খানের  ক্ষেত্রে কখন আপোস করেনি তিনি। তার সব চাইতে বড় বৈশিষ্ট দলীয় নেতা কর্মীর সাথে মধুর সম্পর্ক রেখে,অন্যায় বা অবৈধ অর্থের কাছে মাথা নত করেনি কখনও । এক কথায় তার তুলনা সে নিজেই। বহুগ্রাম ইউনিযনের ঐতিহ্যবাহী বলনারায়ন বাজার, হাসপাতাল, বোর্ড অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ,স্কুল, মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে যে  জায়গা প্রদান করেছে একমাত্র বলনারায়নের কাজী গোষ্ঠির লোকজন এবং সম্পূন্ন কাজীদের অবদান বলে এলাকার সাধারন মানুষের মুখে মুখে শোনা গেছে। কাজী বংশের কয়েক জনের সাথে চেয়ারম্যান সংত্রুান্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা

কালে তারা জানান কাজী গোষ্ঠির আগামী দিনের  কৃতি সন্তানই আমাদের প্রিয় কাজী ওহিদ। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান মহোদয় যদি কাজী ওহিদকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমাদের বংশের প্রায় ৪০০/৪৫০ ভোট রয়েছে বংশের সবায় একবাক্য তার নির্বাচন করবে এবং আমাদের বংশের একটি ভোটও অন্য কোন প্রার্থীর বাক্সে যাবেনা বলে তারা নিশ্চিত করে জানান। দিস্তাইল ও খোদ্দদুর্বাসুরে খোন্দকার,মোল্রা বংশ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের যে লোকজন আছে তাদের অধিকাংশ লোকই গত বারের ন্যায় এবারও তার পক্ষে নির্বাচন করবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এছাড়া বহুগ্রাম ইউনিয়নে যে কয়টি বড় বংশ রয়েছে বলনারায়ন ও দিস্তাইল কাজীরাই তার অন্যতম। বলনারায়নের কাজী গোষ্ঠির লোকজনের পূর্ব কাল হতে নম্র, ভদ্রের একটি সুনাম রয়েছে সমগ্র দেশব্যাপী। রাজনৈতিক বিবরনে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়াসহ চারদলীয় জোট সরকার হঠাও আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুহাম্মদ ফারুক খানের নির্দেশনায় সারা দেশের ন্যায় মুকসুদপুর

উপজেলায় তৎকালিন সময়ে যারা অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য হাফিজুর রহমান লেবু ও কাজী ওহিদ নাম নেতা কর্মীদের মুখে মুখে আজও শুনা যায়। বহুগ্রাম ইউনিয়ন হতে ভ্যান,নসিবুন ভরে ভরে দলীয় লোকজন উপজেলায় এনে আন্দোলন সংগ্রামকে সফল ও বেগবান করতে তৎকালিন সময় তিনি। আন্দোলন সফল করার লক্ষে ওই এলাকার লোকজনের যাতায়াত খরচ,খাওয়া দাওয়াসহ প্রায় সব কিছুই সেই সময় তিনিই বহন করতেন বলে আরো জানা গেছে। আজকের অনেক নেতাকেই তৎকালিন সময়ে রাজপথ কোথায়ও তেমন খুজে পাওয়া না গেলেও হাফিজুর রহমান লেবু ও কাজী ওহিদকে সময় দেখা গেছে ।শুধু রাজনীতির মাঠেই নয় মুকসুদপুর উপজেলার প্রতিটি কর্মসূচিতে এই দুইজনকে প্রথম সারিতে সব সময় দেখা যায় বলে অধিকাংশ মানুষে মন্তব্য করেছেন। একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে হলে নূন্যতম শিক্ষিত,স্থানীয় সাংসদ এবং উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের কাছ থেকে এলাকার উন্নয়নমুলক কাজ আদায় করার সহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে সমন্বয় করার যোগ্যতা থাকতে হয়। উপরের উল্লেখিত সকল গুনাগুলি বহুগ্রাম ইউনিয়নের কৃতি সন্তান কাজী মোঃ ওহিদুল ইসলামের মধ্যে লক্ষ করা গেছে। সাংবাদিকরা বহুগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সংত্রুান্ত বিষয়ে নিয়ে ওই এলাকায় হিন্দু অঞ্চল নামে খ্যাত বহুগ্রাম,দুর্বাসুর,

বনবাড়ী, খাগড়াডাংগা, মঠবাড়ি গ্রামের বেশ কিছু নারী পুরুষের সাথে আলাপকালে তারা জানান এই ইউনিয়নে যে কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে কাজী ওহিদ একজন দলের নিবেদীত প্রাণ। জন্মগত ভাবে সে সহ তাদের কাজী গোষ্ঠির শতভাগ মানুষই আওয়ামীলীগ রাজনীতির থাকে জড়িত রয়েছে। আমাদের এলাকার কাজী পরিবারের সুনাম রয়েছে সমগ্র এলাকাব্যাপী। যে কথাটি না বলেই নয় কাজী ওহিদ মুসলমান না হিন্দু তা তার আচার আচারনের মধ্যে ধরা পড়েনা। তার মধ্যে নেই কোন আত্মাংকার, নেই কোন হিন্দু মুসলমান বিদ্দেষ। সব সময়ের হাসি মুখি গুনের একটি অধিকারী মানুষ। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কাজী ওহিদকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিলে হিন্দু সম্প্রদয়ের এলাকা থেকে সে প্রায় ৭০/৮০% ভোট পাবে বলে অনেক হিন্দু সম্প্রদয়ের লোকজন মন্তব্য করেছেন। অপর দিকে মুসলমান এলাকার বলনারায়ন তার নিজ গ্রাম হওয়ার কারনে সেখানে ৮০% ভোট পাবে বলে এলাকার জনগণের ধারনা।

আর ইউনিয়নে থাকবে না হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে কোন  হিংসা প্রতিহিংসা মুলক কর্মকান্ড। হিন্দু মুসলমান সহ সাধারন মানুষের মাঝে তৈরী হবে এক বন্ধুত্বের বন্ধন। মনোনয়ন প্রাপ্ত সংত্রুান্তে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের  তিনি বলেন আমাকে যদি  ঐতিহ্যবাহী বহুগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ- ১ আসন হতে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুকসুদপুর কাশিয়ানী এলাকার উন্নয়নের রুপকার মুহাম্মদ ফারুক খান মহোদয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশআওয়ামী লীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক, মহিলা লীগ,শ্রমিকলীগ এবং প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং ইউনিয়নের সর্বস্তরের লোকজনকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ে হওয়ার চেস্টা করবো। আমার প্রাণের নেতা ফারুক ভাই,উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের আশির্বাদ আমার উপর থাকে তাহলে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমি কাজী ওহিদ তা করার জন্য প্রস্ত্তত রয়েছে। বিগত ২০১৬ সালের  নির্বাচনে বহুগ্রাম ইউনিয়নে আমাকে দলীয়  নমিনেশন দিলে আমি বলনারায়ন বাজারে দাড়াতে পারবোনা বলে আমার প্রিয় নেতার কাছে অপপ্রচার করেছিল তাদের উদ্দেশ্য শুধু বলতে চাই কাজী ওহিদ নামের ছেলেটি আল্লাহ পাক এবং রসূল (সঃ,) ব্যতিত এই পৃথিবীতে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে শেখেনি। তবে এলাকার ছোট বড় সকলকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে শিখেছে। আমাকে আমাদের প্রিয় নেতা ফারুক ভাইকে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক করেছিলেন এবং এই ইউনিয়নের সমন্বয়কারী করে

ছিলেন। আমি দলের এবং ফারুক ভাই এর এত ভালবাসা পাওয়া স্বত্বেও ইউনিয়নের একজন মানুষকে হয়রানী,

মামলা ও মোক্কাদোমা সহ কোন প্রকার খারাপ ব্যবহার করি নাই। আমি সব সময় চেস্টা করেছি ফারুক ভাই এর নির্দেশনা মেনে চলে এলাকার সাধারন মানুষের পাশে থাকার। ২০২১ সালের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী

লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংসদীয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, গোপালগঞ্জ- ১ আসন মুকসুদপুর কাশিয়ানী এলাকা হতে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, মুকসুদপুর কাশিয়ানী এলাকার উন্নয়নের রুপকার মুহাম্মদ ফারুক খান মহোদয় ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী

লীগ এবং বহুগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমাকে নৌকা প্রতিকের দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমি  ফারুক ভাই  ও আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় মোতাবেক ইউনিযন ছোট বড় সকলকে সাথে নিয়ে নির্বাচন উর্ত্তীন হওয়ার চেস্টা করবো। আল্রাহ সহায় থাকলে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার গরীব,দুখী মেহনতী মানুষের পাশে থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অধিকার আদায়ের চেস্টা করবো। বহুগ্রাম ইউনিয়নকে উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে একটি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করবো.... ইন্নাশা আল্রাহ। আমার প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান ফারুক ভাই এর স্বপ্ন বহুগ্রাম ইউনিয়ন সন্ত্রাস মুক্ত, চাদাবাজ মুক্ত এবং শান্তি প্রিয় একটি ইউনিয়ন দেখার। আমার জীবনের প্রথম কাজ হবে বহুগ্রাম ইউনিয়ন থেকে চাদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের  মোকাবেলা করে শান্তি প্রিয় একটি ইউনিযনে রুপান্তিত করা। আমাকেকে ব্যতিত অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হলে এমন এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের তিনি জানান আমার প্রাণপ্রিয় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভালবাসি। দল যদি আমার থেকে যোগ্য কাউকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দেন আমি হাসি মুখে বিগত নির্বাচনের ন্যায় এবারও দলীর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো। জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা মূল্যবান সময় দিয়ে তার সাক্ষাত নেয়ায় তিনি সকল সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

রাজনীতি এর আরও খবর: