মানবিকতা বিবেচনায় আগত শ্রমিকদের সচেতনতা, সামাজিক দুরত্ব ও শৃংখলা নিশ্চিত করতে সেনাবাহীনী কাজ করেছে,

 প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২০, ০৭:০২ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি


খাগড়াছড়ি প্রতোনিধিঃ


  জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তেও খাগড়াছড়ি মুখি কারখানার শ্রমিকদের স্রোত  প্রতিদিন বাড়ছে।গতকাল রাতে  মানিকছড়ি চেকপোষ্ট দিয়ে  এক হাজার  নয়শত উনিশ জন এবং রামগড় চেকপোষ্ট দিয়ে একশত ৮৭ জন প্রবেশ করেছে।


সকাল থেকে জেলার দুটি প্রবেশদ্বারে চট্রগ্রাম, ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আগত  শ্রমিকরা 

 প্রবেশের চেষ্টা করলে চেক পোষ্টের দায়িত্বরত নিরাপত্তা  সদস্যরা বাধা দেয়।


পরে রাতে মানবিকতা বিবেচনা করে ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী সিন্দুকছড়ি জোনের আওতাধীন গুইমারা সাবজোন অধিনায়ক মেজর জুনায়েদ বিন কবির জি এর নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা, জেলাপ্রশাসনের প্রতিনিধি সহ নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রশাসনের সাথে আলোচনা স্বপক্ষে  স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের সামাজিক দুরত্ব ও হোমকোয়ারেন্টানের বিষয়ে লিখিত অঙ্গিকার গ্রহনের মাধ্যমে আগত শ্রমিকদের চাঁদের গাড়ি যোগে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।


 জানাযায়  চট্রগ্রামের  ও ঢাকার আশুলিয়া, নারায়নগঞ্জ ও কুমিল্লার বিভিন্ন কারখানায় এসব শ্রমিকরা কাজ করতো।


এসময় মেজর জুনায়েত বিন কবির জি বলেন,অসহায় শ্রমিকদের বিষয়ে মানবিকতা ও সকলের বিবেচনায় রাখতে হবে।তিনি বলেন,আমরা আগত শ্রমিকদের সামাজিক দুরত্ব ও হোমকোয়ারেন্টান নিশ্চিত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের লিখিত অঙ্গিকার রেখেছি।তারা সামাজিক দুরত্ব ও সচেতনতার বিষয়ে দেখবেন।


এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে  গত তিনদিনে ২ হাজার ৭ শত ৬৫ জন শ্রমিক প্রবেশ করেছে এ জেলায়।এর মধ্যে শুধু শনিবারেই প্রবেশ করেছে ২ হাজার ৬শত জন।


আগত শ্রমিকরা অভিযোগ করে জানান,বেতন না পাওয়ায় বাড়ির  মালিকররা বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে তাদের ।তারা ট্রাক,সিএনজি আবার কেও পায়ে হেটে বাড়িতে  আসার লক্ষে  জেলার প্রবেশদ্বারে এসেছে।এসব শ্রমিকদের অধিকাংশই নারী।তাদের সাথে রয়েছে শিশু।অনেকে বলেছে সারা দিন  না খেয়ে ছিলো তারা।


মানিকছড়ি থানার ওসি আমির হোসেন জানান,শনিবার রাত পর্যন্ত মানিকছড়ি চেকপোষ্ট দিয়ে ১ হাজার ৯ শত ১৯জন প্রবেশ করেছে।তারা সবাই কারখানার শ্রমিক। 


রামগড়ের ওসি সামসুজামান জানান,শনিবার রাত পর্যন্ত রামগড় চেকপোষ্ট দিয়ে ১শত ৮৭ জন প্রবেশ করেছে। তারা সকলেই ঢাকা ও কুমিল্লা এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতো।


এদিকে সকাল থেকে রামগড়ে চলমান  করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা মুলক কার্যক্রমে  অংশ হিসেবে সেনাবাহীনীর গুইমারা সাবজোন অধিনায়ক মেজর জুনায়েদ বিন কবির জি এর নেতৃত্বে  রামগড়

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন এবং ডাক্তারদের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন সহ 

 আগত যেকোনো ধরনের রোগীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন সেনাবাহীনী। 


 এছাড়া  ডাক্তারদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আলোচনা করেছেন তিনি।


এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জিনাত রেহানা

গুইমারা সিএমএইচের ডক্টর ক্যাপটেন জুবায়ের ও ল্যাঃ সাদসহ  কমপ্লেক্সের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ উপস্থিত ছিলেন।


রাজনীতি এর আরও খবর: