একজন ক্যান্সার রোগীর জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন।

নিজস্ব প্রতিনিধি, মামুন খানঃ
কতশত স্বপ্ন নিয়ে একজন মানুষের জীবন সামনের দিকে এগিয়ে যায়। একজনের নিজের স্বপ্নের সাথে তার কাছের স্বজনদের স্বপ্নও এগিয়ে যেতে থাকে তাকে ঘিরে। কিন্তু কখনো কখনো ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয় মানুষ। হানা দেয় অপ্রত্যাশিত ব্যাধি। আর তখনই বেঁচে থাকার চরম আকাঙ্ক্ষা মানুষকে আঁকড়ে ধরে। আর কিছু দুরারোগ্য ব্যাধির কাছে মানুষ বড্ড অসহায়। থেমে যায় জীবনের স্বাভাবিক গতি, থেমে যায় স্বপ্ন। একজন মানুষের নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার সাথেসাথে ভেঙে পড়ে পরিবার, অসহায় হয়ে পড়ে বাবা-মা, মলিন হয়ে যায় তার সন্তানদের রঙিন স্বপ্নগুলোও। হয়তো একজন বাবার চোখে এটিই জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।
অথচ আমরা ইচ্ছে করলেই অনেকের এই চরম সংকটে এগিয়ে আসতে পারি। অংশ নিতে পারি মানবিক কাজে। আমরা চিন্তায়-ভাবনায় কখনো কখনো মানুষের কল্যাণে ভালো কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। হয়তো জীবনের ব্যস্ততায় ও বাস্তবতায় করা হয়ে উঠেনা। মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত দিন মজুর মোঃ শফিক মোল্লা (৩৭) এর পাশে দাঁড়ানো হতে পারে সেরকমের একটি সুযোগ। বড় সমস্যাগুলো সমাধান হয়তো আমরা একা করতে পারিনা কিন্তু আমরা ইচ্ছা করলেই ছোট্ট পরিসরে হাত বাড়িয়ে দিতে পারি। আমাদের ছোট্ট ছোট্ট মানবিক হাত অনেকের জন্য হয়ে উঠতে পারে সংকটের বিশাল সমুদ্রে বেঁচে থাকার খুঁটি। অসহায় মানুষের মুখের হাসি জগতের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর মধ্যে একটি। কারো প্রতি আমাদের ছোট্ট সাহায্যের হাত বাঁচিয়ে দিতে পারে কারো জীবন, বাঁচিয়ে দিতে পারে কারো স্বপ্ন, আর সেইসাথে বেঁচে যায় মানবতা। দিনশেষে মানুষ মানুষের জন্য।
অবুঝ এক ছেলে ও এক মেয়ের অসহায় দিন মজুর পিতা, শফিক মোল্লা, ঘরে স্ত্রী ও অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা। শফিক মোল্লার নিজের কোন জমি-জমা না থাকায় অন্যের জমি বর্গা চাষ করে এবং দিন মজুরের মাধ্যমে কোন রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছিল। একদিন হঠাৎ এই পরিবারে নেমে আসল ঘোর অন্ধকার অমানিশা। এই পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ৩৭ বছর বয়সী শফিক মোল্লার শরীরে কখন যে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধি ক্যান্সার তা সে বুঝতে পারেনি। গত পাঁচ মাস পূর্বে ধরা পড়ে এই দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার। গ্রামবাসী ও নিকট আত্বীয়দের সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসে। বর্তমানে তিনি ঢাকা অনকোলজি এ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টারে অধ্যাপক ডাঃ শেখ গোলাম মোস্তফা এর অধীন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ করতে ১০ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন যা একজন দিন মজুর শফিক মোল্লার পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। বর্তমানে তাকে দিতে হচ্ছে কেমোথেরাপি। দুটি দেওয়া ও হয়েছে, আরও লাগবে ৬টি। প্রতি ১৮দিন পরপর খরচ হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ধার-দেনা এবং গ্রামবাসী ও নিকট আত্বীয়দের সহায়তায় প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করেছে। এই পরিস্থিতিতে যেখানে তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পরিবারটি হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে চিকিৎসা সেবায় এই বিশাল অংকের টাকা বহন এই অসহায় পরিবারটির পক্ষে সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব। তাহলে কি চিকিৎসার অভাবে থেমে যাবে শফিক মোল্লার জীবন প্রদীপ? অবুঝ দুটি শিশু কি হারাবে তাদের বাবাকে? বৃদ্ধ বাবা-মা কি হারাবে তাদের বুকেরধন, সোনা মানিকরে? অল্প বয়সী এক বোন কি বিধোবা হয়ে যাবে আমাদেরই চোখের সামনে? আমাদের কি কিছুই করার নাই?
কোন মানুষের জীবন প্রদীপ যদি টাকার অভাবে নিভে যেতে চায়, তার দেখা স্বপ্নগুলো যদি ধিরে ধিরে ফ্যাকাসে হয়ে যায়, আনন্দ যদি পরিণত হয় বিষাদে, তা জেনে মানুষ হিসেবে আমরাও ভাল থাকতে পারিনা। আসুন আমরা যে যতটুকু পারি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই। হয়তো আমাদের সামান্য অবদানে অবুঝ শিশুগুলো তাদের বাবাকে ফিরে পাবে, বৃদ্ধ বাবা-মা ফিরে পাবে তাঁদের ছেলেকে, পরিবার ফিরে পাবে স্বস্তি।
মোঃ শফিক মোল্লার সাথে যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
নামঃ শফিক মোল্লা(৩৭)
পিতাঃ বকু মোল্লা
গ্রাম+ডাকঘরঃ মাজড়া
থানাঃ কাশিয়ানী
জেলাঃ গোপালগঞ্জ
মোবাইলঃ ০১৭৪৫-৭০৩১০৭
অথবা, শফিক মোল্লার চিকিৎসক
অধ্যাপক ডাঃ শেখ গোলাম মোস্তফা
ঢাকা অনকোলজি এ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার
এমএইচবি ভবন, ডিআইটি প্লট#৯৪, মোহাখালী, ঢাকা।
অথবা শফিক মোল্লার আপন ছোট ভাই
সোহেল রানা
সঞ্চয়ি হিসাব নং- ০৫৬১২১০০০১৫৮৭৬
এক্সিম ব্যাংক, কেরানীগঞ্জ শাখা, ঢাকা।
বিকাশ ব্যক্তিগত নম্বরঃ ০১৭৪৫-৭০৩১০৭