মুকসুদপুর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আলোচিত বার্তার প্রধান বার্তা সম্পাদক খোরশেদা মল্লিক।

আজ ২০ আগষ্ট মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদারের শুভ জন্মদিন।
ভাবড়াশুর ইউনিয়নের ভাবড়াশুর গ্রামের সিকদার পরিবারে জন্ম নেয়া এই মানুষ টি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। কে,এম কলেজ ভাঙ্গা এবং ১৯৮০-৮২ খুলনা বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সহ- সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতোমধ্যে একজন ক্রীড়া বিদ( ফুটবল খেলোয়াড়) হিসেবে ও ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
এরপর ১৯৮৩-৮৭ পর্যন্ত মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৯২ সাল থেকে একে একে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি 'র একান্ত আস্থা ভাজন প্রিয় এক কর্মী হয়ে
ভাবড়াশুর ইউনিয়নের এই কৃতি সন্তান জনপ্রতিনিধি হিসেবে ও গড়েন অনন্য এক নজীর। ১৯৯২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটানা তিনবার ভাবড়াশুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সতের বছর (১৯৯২-২০০৯) ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ভাবড়াশুর তো বটেই সম্ভবত সমগ্র মুকসুদপুর উপজেলার দীর্ঘ মেয়াদি চেয়ারম্যান হিসেবে নজীর স্থাপন করেন।
অবশেষে ২০০৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৮-৯৮ পর্যন্ত প্রায় দশ বছর শিক্ষকতা করেছেন কালী নগর উচ্চবিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে কালী নগর উচ্চবিদ্যালয়, জলিরপাড় জেকে এমবি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়(৩ বার) পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে বঙ্গরত্ন ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হিসেবে ৩য় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি কৃষ্ণাদিয়া বাগু মৃধা উচ্চবিদ্যালয় ও ভাবড়াশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রেখে চলছেন।
গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এই মানুষটি বর্ণাঢ্য এবং কর্মমুখর এক রাজনৈতিক জীবন গঠন করে আজ প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি সহ মুকসুদপুর উপজেলার আওয়ামী আদর্শের প্রতিটি মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে পেরেছেন। দ্বিধাহীন চিত্তে আমি,
আমরা দৃড়ভাবে বিশ্বাস করি- কোন শক্রুব্যক্তি এমন কি ভিন্ন মতের রাজনৈতিক ব্যক্তি ও স্বীকার করবেন যে সাংগঠনিক দক্ষতায় রবিউল আলম সিকদার যোগ্যতা প্রশ্নাতীত।
পরিশেষে আদর্শিক জীবনের এই অভিভাবকের শুভ জন্মদিনে তার সামগ্রিক মঙ্গল কামনা করছি, সুস্থতা কামনা করছি, দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি।
দীর্ঘ জীবী হোন।