সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অষ্টম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার, শেখ লিয়াকত আহম্মেদঃ
আজ ২৩ অক্টোবর দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কবি ও কথা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অষ্টম মৃত্যু বার্ষিকী ৷
২০১২ সালের এই দিনে আকস্মিকভাবে সকলকে শোকস্তব্ধ করে ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন তিনি৷
১৯৩৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায় পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা বরেণ্য সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷ দেশ ভাগের সময় মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে যান। বাংলাভাষী এই সাহিত্যিক একাধারে কবি, উপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট হিসেবে অজস্র স্মরণীয় রচনা উপহার দিয়েছেন। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার জীবনানন্দ পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি।
১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ সালে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়।
সাহিত্যের জন্য ১৯৭২ ও ১৯৮৯ সালে আনন্দ পুরস্কার আর ১৯৮৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়৷
এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই হল আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি, যুগলবন্দী (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), হঠাৎ নীরার জন্য, রাত্রির রঁদেভূ, শ্যামবাজারের মোড়ের আড্ডা, অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, ভানু ও রাণু, মনের মানুষ ইত্যাদি।শিশুসাহিত্যে তিনি “কাকাবাবু-সন্তু” নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা।
বরেণ্য সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নাড়ির টান ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে৷
নানা প্রতিকূলতার পরেও ২০০৩ সালে সস্ত্রীক নিয়ে আসেন জন্মভিটায়। তৈরি করা হয়েছিল সুনীল আকাশ নামের একটি সাহিত্য চর্চা ও গবেষনা কেন্দ্র। কালকিনি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০১৮ সাল থেকে লেখকের পৈতৃক ভিটা কাজীবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে "সুনিল মেলা" নামে মেলার আয়োজন করে৷ তার নামে প্রবর্তন করা হয়েছির সুনীল সাহিত্য পুরস্কার।
উঠতি বয়সীরা অনেক জানে না সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম মাইজপাড়ায়। জন্ম মৃত্যুর তারিখের খোঁজটুকু জানা নেই তাদের৷
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও বৈরী আবহাওয়ার কারনে এবার কবির মৃত্যু বার্ষিকীতে তার পৈত্রিক ভিটা কালকিনির পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ৷
কবির স্মৃতি ধরে রাখতে কবির সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের যথাযথ সংস্কারের দাবী সকলের।