নীলফামারীতে গণঅধিকার পরিষদের মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত

 প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৪:০২ অপরাহ্ন   |   রাজনীতি


লিটন ইসলাম,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী জেলার গণঅধিকার পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে আয়োজন হয় ১২ ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার। উক্ত মাসিক মিটিংয়ে নিলফামারীর প্রতিটি উপজেলার  বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ, আহবায়ক,  সমন্বয়ক, সহ সমন্বয়ক গন সহ আনুমানিক 35 জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন । সভাটি নীলফামারী জেলার বড় মাঠে খোলা আকাশের নিচে উনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক সাইদুজ্জামান বাবু ভাই এবং সভা  সঞ্চালনা করেন সহ সমন্বয়ক মোঃ বাবলু  ইসলাম ।

তার বক্তব্যে তিনি পূর্ববতী মাসিক সভার সংক্ষিপ্ত রেজুলেশন পাঠ করেন , একে একে পরিচিতি পর্ব শেষে তিনি সকালের মতামতে অত্র সভার আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেন

 

আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়

১৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্র অধিকার পরিষদ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের চিন্তা।

২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমাদের ভাবনা।

সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের পরিকল্পনা।



প্রথমে জাহাঙ্গীর ইসলাম তার বক্তব্যে- সদস্যদের সাংগঠনিক চাঁদা গ্রহণ ,শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংঘাত এড়িয়ে চলা বিষয়ে আলোচনা করেন।


এর পর ফারুক হোসেন বলেন  প্রপার লেভেলে দল গঠনের চিন্তা করা।


দেলোয়ার হোসেন সহ সমন্বয়ক যুব অধিকার পরিষদ, তিনি বলেন জেলা পর্যায়ে অফিস নেওয়া নিয়ে আমাদের চিন্তা করা যেতে পারে কি! সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা।


শাকিল ইসলাম বলেন নিয়মিত দলীয় প্রচার প্রচারণা চালানো, সদস্যের মধ্যে সাহস উত্পন্ন করা, নিয়মিত মাসিক মিটিং পরিচালনা করা, এলাকায় নিজের রাজনৈতিক পরিচিতি সম্পর্কে জানান দেওয়া।

 

তাইজুল ইসলাম বলেন আমাদের সকল কর্মকাণ্ড পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। 


সেকেন্দার ইসলাম সমন্বয়ক যুব সমন্বয়ক বলেনজাতির ক্রান্তি লগ্নে আমাদের অংশগ্রহণ করিয়ে এই দলের মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হবে। দলের মধ্যে ইনভেস্ট করার মধ্যে কাজ করতে হবে, আজ ছোট দলটি একদিন অনেক বড় হবে। এলাকা ভিত্তিক প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে, দল কে ভাল কিছু দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 


লিটন ইসলাম বলেন, আমাদের দলীয় আহ্বান পোস্টার ছাপানো, ২১ তারিখে জেলা পর্যায়ে ফুল দেওয়া শহীদ মিনারে, চাঁদা আদায় বিষয়ে ও ছাত্র অধিকার পরিষদ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।


ফেরদৌস ইসলাম অপু সহ-সমন্বয়ক শ্রমিক অধিকার পরিষদ বলেন সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।


রাকিব সরকার  সমন্বয়ক শ্রমিক অধিকার পরিষদ, ক্ষমতাশীন ছাড়া দেশের সকল মানুষ বর্তমান বৈষম্যের শিকার, গ্রামের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন না, তাদের জানানো যে বর্তমানে দেশে বিকল্প ধারার রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি হয়েছে, তারা রাজনৈতিক ভাবে অনাগ্রহী, তাদের রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করা, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামতে হবে যে কোনো কাজে। দল বিভাজন এর বিষয়টি দমন করতে হবে অত্যন্ত কৌশলে।

এবং চাঁদা আদায় মাসিক ভাবে করা দরকার, কিন্তু সকলে আগ্রহী না, দেখা যাবে সদস্য রা আগ্রহী হবে না, এজন্য বিকল্প এসপন্সর খুঁজতে হবে।  আমি ব্যক্তিগতভাবে ততটা স্বাবলম্বী না তারপরও চেষ্টা করবো।  আরো বলেন আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করতে হবে।


ছাত্র অধিকার পরিষদ এর মাহিন ইসলাম বলেন 17 ফেব্রুয়ারি আনন্দ মিছিল আয়োজন, ও এতিমখানা খাবার বিতরণ করা যেতে পারে। 


মোঃ বাবলু ইসলাম সদস্যদের বক্তব্য শেষে নিজের মতামত বলেন প্রতিটি ইউনিট থেকে আলাদা ৫০/৪০ টাকা চাঁদা করে এর ফান্ড তৈরি করি, এর পর এটি নিয়ে যৌথ একটি ফান্ড গঠন করা যেতে পারে।


যুব অধিকার পরিষদের সাইদুজ্জামান বাবু সর্বশেষ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন, রংপুরের উপ-কমিটির ভাইদের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মিটিং থাকায় এই মিটিং যুক্ত হতে পারেন নি।

যুব এর পক্ষ থেকে চাঁদা আদায়ের ক্ষেত্রে 20- 50 টাকা মাসিক চাঁদা তোলা যেতে পারে। অফিস নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা নিবন্ধন করতে পারি নাই তাই আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশ ছাড়া অফিস নিতে পারি না। সদস্য আহ্বান এর লক্ষে পোস্টারিং এর কাজ চলছে,  আমাদের ফেসবুক grupe নিয়ে কাজ করতে হবে, এর মাধ্যমে নীলফামারীর চিত্র তুলে ধরা যাবে। অনলাইনে সাপ্তাহিক, এবং মাসিক একটি ফিজিক্যাল মিটিং আয়োজন করা যায়। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, ব্যাক্তিগত ভাবে একটু এগিয়ে এসে চাঁদা আদায় সমস্যা সমাধান করতে হবে। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা ধরে চলতে থাকা উক্ত সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

রাজনীতি এর আরও খবর: