হামলা, ভাঙ্গচুর ও প্রার্থীকে আটক করার প্রতিবাদেরাজশাহী বাঘার বাউসা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

লিয়াকত হোসেন রাজশাহী ব্যুরোঃ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, বাড়ি ভাঙ্গচুর, প্রার্থীর নি:শর্ত মুক্তি, পুলিশি হয়নারী বন্ধ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদও হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে রাজশাহী মহানগরীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বরেন্দ্র প্রেস ক্লাবে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তুফান এর স্ত্রী রোজিনা আক্তারী এই সংবাদ সম্মেলন করেন। তুফান মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করছেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, তঁার স্বামী নূর মোহাম্মদ তুফান বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়াও তিনি রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য। তিনি আজীবন আওয়ামী লীগ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি বাউশা কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন। গত ইউপি নির্বাচনে তঁার স্বামীকে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়ার কথা থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সেইসাথে বর্তমান নির্বাচনে তঁাকে মনোনয়ন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি আরো বলেন, তঁার স্বামী তুফান জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তঁাকে মনোনয়ন দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু চুড়ান্ত সময়ে আবারও বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানকে মনোনয়ন দেন। এ অবস্থায় তুফান আর কোন উপায় না দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু সন্ত্রাসীরা বর্তমান চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পোস্টার টাঙ্গাতে দিচ্ছেনা। সেইসাথে কাউকে প্রচারনা করতেও দিচ্ছেনা।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, শুধু এগুলো করেই চেয়ারম্যানের বাহিনী ক্ষান্ত হয়নি। চলতি মাসের ৪ তারিখ তারই অনুসারী ও বহিরাগত সন্ত্রাসী মিলে ৬০-৭০ জন তাদের বাড়িতে অতর্কিত হামালা চালায়। তারা কার ও মোটর সাইকেল নিয়ে আসে। সে সময়ে তিনি ছাড়া আর কেউ বাড়িতে ছিলেন না বলে জানান রোজিনা। তার চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে এবং মসজিদে এই হামলার ঘোষনা দিলে অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসে। লোকজন দেখে সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেল নিয়ে তারাহুরো করে পালানোর সময় অনেকইে সামান্য আহত হয়। তারা কিংবা তঁাদের কোন সমর্থক সন্ত্রাসীদের গায়ে আঘাত করেনি বলে জানান রোজিনা।
রোজিনা বলেন, সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হলেও এবং সন্ত্রাসীরা বাড়ি ভাঙ্গচুর করলেও সেখানকার আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সন্ত্রাসীদের আটক না করে তঁার স্বামী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তুফানকে মামলা করার কথা বলে থানায় ডেকে নিয়ে আরো দুইজনসহ ওসি আটক করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেইসাথে ৪৮জন এজাহার ভূক্ত এবং ১৫০জনকে অজ্ঞাত করে বাঘা থানা পুলিশ মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় করোনায় আক্রান্ত হোম কোরাইন্টাইনে থাকা একজন এবং বাহিরের দশজন ব্যক্তিকেও আসামী করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোজিনা বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়নি। তঁার স্বামীর নি:শর্ত মুক্তি, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষে প্রদানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বার বার মোবাইলে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে রাজশাহী জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখ্যপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না । খোজ নিয়ে দেখবেন। ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়াররর আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।