রাজশাহীতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মুরগীর খামার করার অভিযোগ।

লিয়াকত, রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীর পবার দাদপুর চকপাড়া গ্রামের ঘণবসতি পূর্ণ এলাকায় সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভূতভাবে মুরগীর খামার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেইসাথে খামার বন্ধ করার জন্য পবার দাদপুর গ্রামের হাজী আব্দুস সামাদের ছেলেন আবুল কালাম আজাদ পরিবেশ অধিপ্তর রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক বরাবরে একটি আদেবন করেছন। এতে তিনি উল্লেখ করেন দাদপুর গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একই গ্রামের মৃত মনির উদ্দীন এর ছেলে আব্দুল লতিফ মুরগির খামার করা শুরু করেছেন।
বর্তমানে মুরগীর খামার তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খামারের আশে পাশে ঘণ বসতি হওয়া সত্ত্বেও তিনি জোর পূর্বক সেখানে খামার তৈরী করছেন। গ্রামের কিছু লোকজন আব্দুল লতিফ এর নিকট যেয়ে খামার না করার অনুরোধ করলেও তাদের কথা আমলে না নিয়ে খামারের নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসাথে তিনি প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ বলেন, আমি আমার জায়গায় খামার করছি, রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এসে আমার খামার করা বন্ধ করতে পারবে না। তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
যেখানে খামার তৈরী করা হচ্ছে তার চারপাশে প্রায় ১৫-২০টি বাড়িসহ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান রয়েছে। এই জায়গায় খামার হলে গ্রামটি বসবাসের উপযোগী থাকবে না এমনকি পরিবেশ নষ্ট হবে। বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ নিকট আবেদন করেও কোন সমাধান হয়নি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তিনি শুধু পরিবেশ অধিদপ্তরেই নয় আবেদনটি আর এমপি পুলিশ কমিশনার, আর.এম.পি, এন.এস.আই, ডি.জি.এফ.আই, অধিনায়ক, র্যাব-৫, জেলা প্রশাশক, পবা উপজেলা চেয়ারম্যান, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পবা থানা অফিসার ইনচার্জ, পবা প্রেস ক্লাব, পবা, রাজশাহী। এই বিষয়টি আমলে নিয়ে গ্রামের বসতিপূর্ণ স্থানে মুরগির খামার বন্ধ করে জনগণকে পরিবেশ দুষনের কবল থেকে রক্ষা করার অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, পবা উপজেলা পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে একটি কমিটি রয়েছে। তারা এই বিষয়টি প্রথমে দেখবেন। উপজেলা প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তিনি বিষয়টি দেখবেন। যেহেতু তঁার অধিদপ্তরে আবেদন হয়েছে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ বিষয়ে জানতে আব্দুল লতিফকে মোবাইলে কল করলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।