বাগমারা উপজেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী তৃণমূল নেতা শহীদ।

লিয়াকত রাজশাহী ব্যুরোঃ আগামী ১৪ই নভেম্বর হতে যাচ্ছে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।আর এ সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শহিদুল ইসলাম (শহিদ)। ছাত্র জীবন থেকেই যুক্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে, লড়েছেন জামাত/ বিএনপি জোটের বিরুদ্ধে। শুধু আওয়ামীলীগ করার অপরাধে ২০০৩ সালে জামাত/বিএনপি শাসন আমলে বিনা কারনে দীর্ঘদিন কারা বরন করতে হয় এবং সেই সময় একাধিক মামলার আসামী ও হতে হয় শহিদুল ইসলাম শহিদ কে।এতো কিছুর পরও তিনি ছেড়ে যাননি রাজপথ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি।
শহিদুল ইসলাম শহিদ ১৯৭৯ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কানাইশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শহিদুল ইসলাম শহিদ ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন হাটগাঙ্গোপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায়। দশম শ্রেনীর ছাত্র থাকা অবস্থায় শহিদ ১৯৯৫ সালে হাটগাঙ্গোপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে আউচপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।২০০১ সালে রাজশাহী কলেজে অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় শহিদ রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।২০০৫ সালে বাগমারা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
গত ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে ৭৬,০০০( ছিয়াত্তর হাজার) ভোট পেয়ে খুব অল্প ভোটে জামায়াত সমর্থিত প্রাথীর নিকট পরাজিত হন শহিদ।তিনি ২০১৩ আউচপাড়া ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক। শহিদ সব সময় জনগনের সেবায় ও দলের হয়ে কাজ করছেন।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদ বলেন, আমি জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।আমার রাজনৈতিক জীবনে আমাকে অনেক মামলা, হামলা, বিভিন্ন সময় ত্যাগ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে । গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহন করে ৭৬ হাজার ভোট পেয়েছিলাম এবং সামান্য ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ও আমি উপজেলার সকল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি এবং তাদের সুখে, দুখে পাশে আছি। কাজেই বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে দল আমাকে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করলে আমি দলের গঠনতন্ত্র মেনে সকল কায্যক্রম পরিচালিত করবো ইনশাআল্লাহ্।