২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না জানিয়ে দিলেন নেইমার।
আউয়াল ফকির
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এটিই হতে যাচ্ছে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে বিদায় নেওয়ার পর অবসর নিয়ে একপ্রকার ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান এ তারকা। নেইমার তখন জানিয়েছিলেন, ‘আমি জাতীয় দলের জন্য দরজা বন্ধ করছি না, তবে শতভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছি না যে আমি ফিরব। আমার ও জাতীয় দলের জন্য সঠিক কী হবে, তা নিয়ে আমাকে আরও কিছুটা ভাবতে হবে।’
বিশ্বকাপের পর ক্লাব ফুটবলে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিল সুপারস্টারের। একে তো ইনজুরির সঙ্গে লড়াই, তাছাড়া মাঠের লড়াইয়েও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন নেইমার। সবশেষ মোনাকোর বিপক্ষে হারের পর সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া করে ক্লাবে নিজের অবস্থান আরও নড়বড়ে করে ফেলেছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, আগামী গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই নেইমারকে বিক্রি করে দিতে চায় পিএসজি। তবে নিজেকে নিয়ে এমন গুঞ্জনের মধ্যেই আবারও আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড।
টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেইমার জানান, ‘আমি বছরের পর বছর ধরে এগিয়ে যেতে চাই। অবশ্যই আমার অনেক বড় স্বপ্ন আছে, আর সেটা হলো বিশ্বকাপ জয়।’
ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপ থেকে দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে খেলছেন। তবে এরই মধ্যে তিনটি বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও এখনো কাঙ্খিত শিরোপার দেখা পাননি। তবে এখনো স্বপ্ন দেখছেন সেলেসাও তারকা। আর এ ক্ষেত্রে তার বড় অনুপ্রেরণা পিএসজি সতীর্থ বন্ধু লিওনেল মেসি।
কাতার বিশ্বকাপের আগে নিজের ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছিলেন মেসি। আক্ষেপ বলতে ছিল কেবল বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা। সেটির অপেক্ষাও ঘুচিয়েছেন কাতারে। আর্জেন্টাইন মহাতারকা ৩৫ বছর বয়সে নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নেমে বহু আরাধ্য সোনালি ট্রফির দেখা পেয়েছিলেন।
মেসির দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের অদম্য এ যাত্রা অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘লিও সবসময়ই একজন অনুপ্রেরণা। সে সবসময় আমাকে সাহায্য করেছেন এবং উৎসাহিত করেছেন। স্পষ্টতই, তাকে ৩৫ বছর বয়সে জিততে দেখে আমিও এটা নিয়ে ভাবি।