মুকসুদপুরে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ।

 প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন   |   জেলার খবর


মুঈনুল ইসলাম শুভো ঃ

 গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর  উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পাথরাইল কালি দহর পাড় এই ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষনের শেষে গৃহবধূর কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা ও গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল সেটও নিয়ে যায় ধর্ষকরা। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার স্বামী সবুজ মাতুবর ৩ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

মুকসুদপুর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত খন্দকার আমিনুর রহমান জানান উপজেলার পাথরাইল গ্রামের কালিদহর পাড় এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার হুমায়ন মুন্সির বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।

ইন্সপেক্টর তদন্ত আমিনুর রহমান থানায় প্রাপ্ত এজাহার এর বরাদ দিয়ে জানান, ঘটনার সময় গৃহবধুর বসতকরা ফাকা বাড়ীতে ওই গৃহবধুর বাসায় মেয়েলি কন্ঠে ডাক দিলে দরজা খোলার সাথে সাথে কিছু না বোঝার আগেই কদমপুর গ্রামের নাওরা পাড়ার ৩ বন্ধু ঘরে ঢুকে। তখন তারা ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্রের ( দা’ বঠি)র ভয় দেখিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ৩ বন্ধু হলো কদমপুর গ্রামের গফুর শেখের ছেলে হেমায়েত (৩৫), নাননু শেখের ছেলে বশির শেখ (২৫) এবং মনির মোল্যার ছেলে ইয়াসিন মোল্যা (২৩)। ধর্ষণ শেষে ৩ বন্ধু গৃহবধুর কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ঘরে থাকা ৯ হাজার টাকাও নিয়ে যায়।


পাথরাইল গ্রামের কালিদহর পাড় হুমায়ন দারোগার বাড়ীতে স্বস্ত্রীক ভাড়া থাকতেন শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মুন্নাগ্রামে (সবুজ মাতবর)। সে উপজেলা সদরের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করেন। ধর্ষিতার স্বামী সবুজ মাতবর বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দেওয়ার পরেই পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোহয়েছে

জেলার খবর এর আরও খবর: