টঙ্গীতে মায়ের হাতে অবুঝ দুই শিশু ছেলে মেয়েকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জবাই।

 প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ


 


রাজু হোসেন (গাজীপুর জেলা) প্রতিনিধি


গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে আপন ভাই বোন কে জবাই করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে নিহত শিশুদের মাকে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। গত শুক্রবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।


নিহত শিশুরা হল- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাতেন মিয়ার ছোট মেয়ে মালিহা আক্তার (০৬) ও ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(০৩)। তারা টঙ্গী পূর্ব থানার পূর্ব আরিচপুর জামাই বাজার রুপবানের মারটেক এলাকায় জনৈক সারোয়ার হোসেনের ৮ম তলা বিশিষ্ট সেতু বিল্ডিং নামক ভবনের ২য় তলার ৩/এ নং ফ্ল্যাটে বসবাস করত।


জানা যায়, নিহত শিশুদের বাবা দুপুর অনুমান ২ টা ৪০ মিনিটের দিকে বাসা হইতে বের হয়ে টঙ্গীস্থ সাহারা মার্কেট এলাকায় যায়। এর পর নিহতের বড় বোন বর্ষা আক্তার ফাতেমা (০৯) বাসা থেকে বের হয়ে তার বড় চাচার বাসায় যায়। তখন নিহত শিশুরাসহ তাদের মা আলেয়া বেগম বাসায় ছিল। এরপর দুপুর অনুমান ০২ টা ৪০ মিনিটের পর হতে বিকাল অনুমান ০৪ টা ৪৫ মিনিটের মধ্যবর্তী যে কোন সময়ে অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সকলের অগোচরে তাদের ফ্ল্যাটের রুমে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দ্বারা নিহত শিশুদের গলা কাঁটাসহ শরীরের একাধিক স্থানে গুরুত্বর আঘাত করে হত্যা করে। পুলিশ হত্যাকান্ডের ঘটনার সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করাসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্তের চেষ্টা করে। এঘটনায় শনিবার (১৯ এপ্রিল) নিহত শিশুদের বাবা বাদী হয়ে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারার বিধান মতে টঙ্গী পূর্ব থানায় ৩৪ নং মামলাটি দায়ের করে। এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নাসিরুদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি জানান, উক্ত ঘটনাস্থলসহ আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমান, উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বাদীর স্ত্রী ও নিহত শিশুদের মা আলেয়া বেগম(৩০) কে সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে পুলিশ প্রতিয়মান হয় যে, বাদীর স্ত্রী এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। তবে হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটনে আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য পুলিশের যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে।

সারাদেশ এর আরও খবর: