৩ মাসেও চালু হয়নি খাগড়াছড়ির রবি টাওয়ার মানিকছড়িতে দুই টেকনিশিয়ান অপহৃত!

মোঃ মুবিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:
গত ২২ জানুয়ারি রাতে একযোগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মাটিরাংগা ও মানিকছড়ি উপজেলার ৮টি মোবাইল টাওয়ারের(রবি) যন্ত্রাংশ ভাংচুর ও মালামাল তছনছের ঘটনায় এখনও জড়িত কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ওইসব টাওয়ার এখনও বন্ধ রয়েছে! এরই মধ্যে গতকাল শনিবার মানিকছড়ি উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রবি টাওয়ার মেরামত করতে আসা ২জন টেকনিশিয়ানকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় মোটর সাইকেলে আসা কয়েকজন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত! এ ঘটনায় আবারও পাহাড়ে অনিশ্চিত হয়ে গেল নষ্ট হওয়া রবি টাওয়ার মেরামত কিংবা রবি সেবা!
রবি টাওয়ার সংশ্লিষ্ট ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেল ২২ জানুয়ারি ভোরে একযোগে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলার ৮টি রবি টাওয়ার ভাংচুর, তছনছ ও আগুনে জ্বালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে দুর্বৃত্তরা! এর পর হতে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারের আওতায় থাকা কয়েক হাজার মোবাইল গ্রাহক গত ৩ মাস যাবৎ সেবা বঞ্চিত! কিন্তু কী কারণে রবি টাওয়ারে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে তা বন্ধ রেখেছে সেটির সদুত্তর মিলছে না কোথাও! রবি মোবাইল সিম বিক্রেতা সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি না প্রকাশ না করে বলেন, পাহাড়ের সকল ব্যবসায় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মোটা অংকে বাৎসরিক চাঁদা দিতে হয়!
এ ক্ষেত্রে রবি কোম্পানির সাথে সশস্ত্র কোন গোষ্ঠীর অমিল হওয়া বা গরমিল হওয়ার রেশ এটি!
এদিকে গতকাল শনিবার বিকেলে মানিকছড়ি উপজেলার ধর্মঘরস্থ ( চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক সংলগ্ন) ময়ুরখীল বিলে থাকা রবি টাওয়ার মেরামত আসেন দুইজন টেকনিশিয়ান। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে হাজির কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী! টেকনিশিয়ানদের টাওয়ার থেকে নামিয়ে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে! সড়কে চলাচলরত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করে জোরপূর্বক টেকনিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল বলেন, গত ২২ জানুয়ারিতে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রবি টাওয়ার মেরামত এসে শনিবার দুইজন টেকনিশিয়ান নিখোঁজ হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি। লোকমুখে এসব শুনলেও এখনও পর্যন্ত বা বিগত সময়েও টাওয়ার সংশ্লিষ্ট কেউই কখনও পুলিশ বা প্রশাসনকে কোন বিষয়ে অবহিত করে না। লোকমুখে শোনা কথায় সত্যতা নিশ্চিত করাও কঠিন। তারপরও আমরা খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।