পাহাড়ি তরুণী’কে ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে পুলিশের বাঁধা।

 প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ



মোঃ মুবিনুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:


পাহাড়ি তরুণী’কে ধর্ষণের প্রতিবাদে পুলিশের বাঁধা মুখে পরে খাগড়াছড়ি সচেতন ছাত্র সমাজ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে খাগড়াছড়ি য়ংড বিহারের রাস্তা ধরে ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে আসলে শহরের পানখাইয়া পাড়া রাস্তার মুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।


পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় দাড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৫ই এপ্রিল মধ্যরাত ১২টার সময় রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার আম্রং (বড়ডলু পাড়া)

এলাকায় বাঙালি ছেলে মোঃ ফাহিম (২৫) কর্তৃক এক মারমা তরুণী(২০) কে গণধর্ষন করে। ঘটনার পরদিন সকালে লোকজন ঘটনাটি জানতে পারার আগেই ধর্ষকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে রাঙামাটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কাউখালী থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু ঘটনার ৩দিন পার হলেও অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়। এবং

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। প্রতিনিয়ত পাহাড়ি নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তার কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি, বরং ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। যার কারণে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা বেড়েই চলেছে পাহাড়ে।


পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় বাঙালি কর্তৃক মারমা তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা এবং প্রতিবাদে পুলিশের বাঁধা দেওয়া’কে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।


বিক্ষোভ সমাবেশে মারমা স্টুডেন্টস্ কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক উক্যনু মারমা নেতৃত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ শিক্ষার্থী কবিতা চাকমা, চম্পা মারমা, নিংথোয়াই মারমা।


শিক্ষার্থীদের বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃদা জানান, নিরাপত্তার শঙ্কায় বিক্ষোভ মিছিলে বাঁধা দেওয়া হয়।

সারাদেশ এর আরও খবর: