যশোরের কামরুল ভারতে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে আসা পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার

 প্রকাশ: ১৩ মে ২০২২, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন   |   অপরাধ



আব্দুল জব্বার, যশোর জেলা ব‍্যুরো প্রধান।।


যশোরের বানিয়ারগাতী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০), তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুন (২৪), কে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে  ০৮-০৫-২২ ইং তারিখে স্বামী কামরুল ইসলাম দেশে ফিরলেও স্ত্রী সালমা খাতুন ফিরে না আসলে সালমা খাতুনের পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, খারাপ আচরন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। 


ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পেয়ে সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম ১১-০৫-২২ ইং তারিখে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করে। 


কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২৫ তাং-১১-০৫-২২ ইং ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭-৮-৯-১০(১)-১৪ ।


ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, এই রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিম উদ্ধারের নিমিত্তে কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেন। 


পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম তদন্তে নামে এবং জানতে পারেন যে, ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে, সালমা খাতুনকে হত্যা করে কামরুল দেশে এসে পালিয়ে আছে। 


মামলার তদন্তকারী এসআই বিমান তরফদারের অধিযাচনের প্রেক্ষিতে ডিবির ওসি  রুপন কুমার সরকার, এর নির্দেশে এসআই মফিজুল ইসলাম, এর নেতৃত্বে থানা ও ডিবির একটি চৌকশ টিম ১২-০৫-২২ ইং তারিখ রাত ১২. টার সময় কোতয়ালী  মডেল থানার বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, ভিকটিম সালমা খাতুনের পাচারকারী স্বামী কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ১৫-০৪-২২ ইং তারিখে আসামী কামরুল ইসলাম (৩০), তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুন (২৪),কে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনান্দ্ব জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটক রেখে, বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সেখানে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে তার নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসে।

 

গ্রেফতার আসামী: মোঃ কামরুল ইসলাম (৩০), পিতা- ইউনুস আলী, সাং-বানিয়ারগাতী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।


উদ্ধারকৃত আলামত :

১। আসামীর ০৩টি পাসপোর্ট।

২। ভিকটিম সালমা খাতুনের পাসপোর্ট।

৩। ভিকটিম সালমা খাতুনের মোবাইল ফোন।

অপরাধ এর আরও খবর: