গাজীপুর মহানগর বৃদ্ধ জহিরুল হকে জমি বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য ছেলেদের অত্যাচার।

মোঃ শফিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলা থেকেঃ
গাজীপুর মহানগর ৩৬ নং ওয়ার্ড গাছা কামারজুরী এলাকায় জমি বাড়ি লিখে না দেয়ায় বৃদ্ধ পিতাকে নির্যাতন করেন দুই ছেলেও পুত্রবধূ গণ।জীবনের মায়া শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় নেন মেয়ে মর্জিনার ভাড়াটিয়া বাসায়। সেখানে গিয়েও বৃদ্ধ জহিরুল হক শান্তিতে থাকতে পারেননি।তুলে নিয়ে আসার জন্য জবরদস্তি।
এব্যাপারে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া গণ বলেন যে বৃদ্ধ জহিরুল হকের চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে আসি।দেখতে পাই বৃদ্ধ জহিরুল হকে বাসা থেকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাচ্ছে এবং বৃদ্ধ জহিরুল হক বলছে এখান থেকে যাবে না বলে চিৎকার করছে এক পর্যায়ে দুই ছেলেকে বাহির করে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
অসহায় বৃদ্ধ জহিরুল হক জানান জমি বাড়ি সহ নিজের নামে লেখে নেওয়ার জন্য ছেলে একরামুল হক সেলিম ও ইন্জ্ঞিনিয়ার আনোয়ার হোসেন এবং পএ বধুগণ মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করে তা সহ্য করতে না পারে পালিয়ে মেয়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে আশ্রয় নেয় ।এখানেও ছেলেদের অত্যাচারে শান্তিতে নেই।গত ১৩ জুলাই মামলা করি।শেষ ও বৃদ্ধ বয়সে ছেলের অত্যাচার থেকে একটু শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য আইনের কাছে ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
বৃদ্ধ জহিরুল হকের মেয়ে মর্জিনা জানান বাবা মাকে ভাইরা দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে। তা সহ্য করতে না পেরে মা স্ট্রোক করে মারা যায়। তাতে ওভাইরা শান্ত হয়নি? চলে বাবার উপর অত্যাচার জমি ওবাড়ী লেখে নেওয়ার জন্য।তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার বাবা পালিয়ে চলে এসেছে।
বৃদ্ধ জহিরুল হকের কামারজুরী বাসার পার্শ্ববর্তী বসবাসকারী নুর নবী হোসেন সহ-এলাকার জনগণ বলেন যে জহিরুল হক একজন শান্ত প্রিয় ছেলেদের জমি লিখে না দেয়ার কারনে দিনের পর দিন তাকে সহ্য করতে হয়েছে নির্যাতন। সবশেষ মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় থানায় মামলা পর্যন্ত করতে হয়েছে তাকে। কামারজুরী এলাকার বাসি ব্যবসায়ী ছেলে একরামুল হক সেলিম ও ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন, পুত্রবধূ লুৎফর নাহার লতা ও নুরুন নাহার নিপাকে সহ আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
আরোও জানায় জহিরুল হক রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে চাকরি করা সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে গাজীপুরে পাঁচ কাঠা জায়গা কিনে বাড়ি করেন।
গাজীপুর মেট্রোঃপুলিশ গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, জহিরুল হক সত্তরের উদ্দে বয়স্ক ব্যক্তি তাহার দুটি ছেলে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। এই জমিটি জহিরুল হকের নামে ক্রয় কৃত সম্পত্তি এবং সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য দুই ছেলে নানানভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছিল।
এক পর্যায়ে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং মানসিকভাবে আঘাত করে জমি লিখে দেওয়ার জন্য সেই ভয়ে জীবনের মায়ায় মেয়েদের বাসায় আশ্রয় নেয়। মেয়েকে সাথে নিয়ে আমার কাছে আসে। এই ঘটনার বিবৃতি আমাকে বলে এবং আমি দেখতে পেলাম হাঁটুর নিচে আঘাতের চিহ্ন ও বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফুলা রহিয়াছে। এভাবে একজন বৃদ্ধ বাবাকে ছেলেরা মারপিট করে তা কাম্য নয় এটা গুরুতর অপরাধ। তাই তাদের নিকট একটি মামলা নেয়।আসামিদের ধরতে আমরা তৎপর রয়েছি।যতক্ষণ পর্যন্ত বৃদ্ধ জহিরুল হকের অত্যাচার ও নির্যাতনকারী গ্রেফতার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।