ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেন উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন সৈন্যরা অনুপ্রবেশ করতে পারে না

 প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন   |   সম্পাদকীয়



১) ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেন উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন সৈন্যরা অনুপ্রবেশ করতে পারে না কিন্তু মুসলিম দেশ/সভ্যতায় তারা বিনা বাধায় প্রবেশ করে লন্ডভন্ড করে দেয় অনায়াসে। ভাবনায় এসেছে কখনো? এসব প্রশ্নে আমি বিদ্ধ হতে হতে গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুসলিম বিশ্বের করুন ভবিষ্যৎটা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকলে আমিও শিউরে উঠতে থাকি।


২) ১৮৩১ সালে অক্টোবর মাসে নারকেল বাড়িয়ায় একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন তিতুমীর। যদিও ঐ বছরই ব্রিটিশ সৈন্যরা কামানের গোলায় কেল্লাটি মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়।   ইংরেজরা কামানের গোলায় যখন মুগলদের প্রস্তরনির্মিত দূর্গ ভেঙ্গে দিচ্ছিল তখন বাঁশের প্রাচীরের শক্তি আর কতটুকু?  যে কারণে, পরবর্তী যুগের ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবীরা তিতুমীরের পথ নয়-বরং ফকির মজনু শাহর পথই বেছে নিয়েছিলেন। ক্ষুদিরাম থেকে মাস্টারদা সূর্যসেন-এঁরা সবাই ফকির মজনু শাহর পথ অনুসরণ করে ক্রমাগত চলমান ছিলেন। কেননা, এঁরা সবাই জানতেন বিদ্রোহীর স্থির থাকতে নেই-তাকে অবিরত স্থান পরিবর্তন করতে হয়।


৩) তিতুমীর ছিলেন শরীয়তপন্থি। পক্ষান্তরে, ফকির মজনু শাহ ছিলেন মাদারিয়া তরিকার সুফীসাধক। এই দুপক্ষের চিন্তার পার্থক্য আমরা আজও টের পাই।

৪) পৃথিবীটা সুন্দর বৈচিত্রতায়। পৃথিবীর সব মানুষ মুসলমান হলে পৃথিবীটা যদি সুন্দর হতো তাহলে আল্লাহ সবাইকে মুসলমান করেই পৃথিবীতে পাঠাতেন। 

৫) আমাকে বেহেস্তে যেতে হবে। এর জন্য অন্যের চিন্তা, বিশ্বাসকে সম্মান করার টাইম নাই। সবাইকে জোর করে আমার চিন্তার মতোই বানাতে হবে। বিষয়টা এমন নয়। 


..........................

হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদেরকে ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন হতে বাঁচাও যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর; যেখানে রয়েছে নির্মম ও কঠোর ফেরেশতাকূল, আল্লাহ তাদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তারা সে ব্যাপারে তার অবাধ্য হয় না। আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ করা হয়। (সূরাঃ আত-তাহরীম ,  আয়াতঃ ৬)

সম্পাদকীয় এর আরও খবর: