স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কালকিনির পশুর হাটে।

 প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২১, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন   |   লাইফস্টাইল


রিপোর্টঃ শেখ লিয়াকত আহম্মেদ। 


পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মাদারীপুরের কালকিনিতে জমে উঠেছে কোরবানির গরু-ছাগলের হাট। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশীয় গরু-ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা আসছেন এসব হাটে। কোরবানির পশু বিক্রেতা, ক্রেতা ও উৎসুক জনতার আগমনে হাটে গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে। অধিকাংশরাই মাক্স ব্যবহার করছে না, মানছে না কেউ সামাজিক দূরত্ব। করোনা বিস্তার রোধে সরকারের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো হাট পরিচালনা করছেন ইজারাদাররা। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে। 


 উপজেলায় পৌর এলাকায় নদীর পাড়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অস্থায়ী পশুর হাট, ফাসিয়াতালা, খাসেরহাট, সমিতির হাট, গোপালপুর হাট, মিয়ারহাট সহ ছোট বড় অনেকগুলো হাট রয়েছে। সরোজমিনে এসব হাটে ঘুরে দেখাগেছে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত৷ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীন হাটে আসা লোকজন৷ হাট কর্তৃপক্ষ দায়সারা ভাবে বিনামূল্যে মাস্ক দিচ্ছে এছাড়াও মাইকিং করে সবাইকে মাক্স ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হলেও অধিকাংশরাই তা ব্যবহারে অনিহা প্রকাশ করছে৷ কেউ কেউ মাস্ক পকেটে, কেউবা মাস্ক হাতে নিয়ে হাটে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে৷ তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তৎপরতা চোখে পড়েনি।


হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী আবুল কাসেম জানান, হাটে প্রচন্ড গরম, পানি দিয়ে গরুগুলোকে পরিচর্যা করতে হয়, আমাদের শরীর সবসময় ঘামানো থাকে আর হাতে সারাদিন পানি থাকে, মাক্স ভিজে যায়, তাই পড়া হয় না, খরিদ্দারা পড়লেইতো হয়। 


এ ব্যাপারে এক ক্রেতা শফিকুল হাওলাদার বলেন, পকেটে মাক্স আছে, প্রচন্ড গরম তাই মাক্স পড়া হয়নি, গরম লাগে। 


হাট ঘুরে দেখা যায় গতবছরের চেয়ে এই বছর কোরবানির পশুর দাম অনেক চড়া। করোনাকালিন সময়ে পশু মোটাতাজা করায় অধিক খরচের কারনে এরকম দাম চাওয়া হচ্ছে পশুর। ক্রেতার বলছে ব্যাপারীরা চড়া দাম হাকিয়ে বসে রয়েছে। বিক্রেতার চাহিদার সঙ্গে ক্রেতার দরদামে না মেলায় বিভিন্ন ব্যাপারীদের সাথে ক্রেতারা দরকষাকষি করছে। আবার অনেক ক্রেতা দামের দিকে না তাকিয়ে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশুটি। 


উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নীরোদ বরণ জয়ধরের তথ্যমতে উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ৩৩৮৫ টি গরু এবং ৫ টি ছাগলের খামার রয়েছে। এতে গরুর সংখ্যা ২৪৮৩৯ এবং ছাগলের সংখ্যা ১২২২৬ টি।


লাইফস্টাইল এর আরও খবর: