এই দুর্দিনে সংবাদকর্মীদের পাশে নেই কেউ।

লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃ
বিশ্বব্যাপী যখন মহামারী চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)এর দাপটে কাঁপছে সারা বিশ্ব।
এই অদৃশ্য ভাইরাস ঠেকাতে মরিয়া হয়ে আছে যখন সারা বিশ্ব। তখন সারা দুনিয়াকে স্থবির করে ফেলেছে এই কোভিড-১৯ ভাইরাস।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২১ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৭০ জন।
এবং মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন প্রায় এক লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৯০জন।আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন প্রায় ০৫ লক্ষ ০৬ হাজার ৪৪০ জন।
তিন মাসেও যখন এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে দমন করার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।তাই এতে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারাবিশ্ব।
বিশ্বের যখন বড় বড় নামী দামী বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে ব্যর্থ,এই অবস্থায় বিশ্বের কোন কোন দেশ দাবি করছেন এ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দেশ আশার আলো দেখাতে পারেননি।তাই এই অবস্থায় একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমাদের খুবই হতাশার বিষয়।
কারণ করনা ভাইরাসের মহামারীর ক্রান্তিলগ্নে রাষ্ট্র সংবাদকর্মীদের কোন প্রনোদনা ঘোষণা বা কোন প্রকার মূল্যায়ন করেননি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রান্তরের তথ্যের জন্য সংবাদকর্মীরায়, নেতৃত্ব দিয়ে সামনের সব ঘটনা তুলে ধরছেন সাংবাদিকরা মাঠে আছে থাকবেও ইনশাল্লাহ।
করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য সব তথ্য সরকারের নির্দেশনা,সচেতন মূলক পরামর্শ বিধি নিষেধ সম্পর্কে গণমাধ্যম ও মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন গোটা জাতি।
এমনকি আইইডিসিয়ারের সব তথ্য মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে।কোন হাসপাতালে কোন কোন রোগী ভর্তি হবে কোন নাম্বারে কল করতে হবে এসব তথ্য তুলে ধরেছে মিডিয়ায়।সকল মানুষের নিকট মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতদের সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা ০৫ থেকে ১০লাখ টাকার স্বাস্থ্য বীমা, এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ০৫গুণ বাড়বে এজন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনা ঘোষণা সত্যি প্রশংসনীয়।
কিন্তু মিডিয়া বা সংবাদকর্মীদের জন্য কোন সরকারের কোন প্রনোদনা ঘোষণা নাই।কিন্তু স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা প্রণোদনার ঘোষণা মিডিয়ার মাধ্যমেই সবাই জানতে পেরেছেন।
কিন্তু এই মহামারীর করোনাকালে মিডিয়া এবং গণমাধ্যমকর্মী ভাইয়েরা পিছু হটবে না।
গণমাধ্যমকর্মীরা রাষ্ট্রের সকল কাজে আছে এবং থাকবে। করোনা মহামারীর দুঃসময়ে পুলিশ ডাক্তার সেনাবাহিনী দের মত সংবাদকর্মীরাও জনগণের দ্বারপ্রান্তে সংবাদ পৌঁছে দেবার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েও পাশে থাকবে। আমার মতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সকল সেক্টরে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তখন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য অল্প কিছু হলেও ঘোষণা করা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি। সংবাদপত্রর সাথে জড়িতরা এই ক্রান্তিলগ্নে কেউই ভালো নেই।
সংবাদপত্রের মালিকদের কাছ থেকেও আসছেনা কোন প্রকার প্রনোদনা, কেনই বা আসছে না এই অবস্থায় সংবাদকর্মীদের বেঁচে থাকা প্রায় দুর্বিষহ হয়ে পরেছে। সব মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাদের কর্মীভাইদেরকে বাঁচান দুর্দিনে পাশে থাকুন। এছাড়া কিবা আশা করার আছে, কেনো যে কেউ এই দুঃসময়ে সংবাদকর্মীদের পাশে থাকছে না এটাই আমার বোধগম্য নয়।