রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে প্রতারকচক্রের মুলহোতা গ্রেফতার

 প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২০, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন   |   রাজশাহী



লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃরাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চাকুরী দেওয়ার প্রতারণা করিয়া অর্থ আত্মসাতের প্রতারকচক্রের মুলহোতা গ্রেফতার ।


গত ইং ২২/০৬/২০২০ তারিখ রাত্রী ২১.৩০ ঘটিকার সময় মোঃ আতিকুর রহমান(২৮), পিতাঃ-মোঃ আঃ জলিল সাং-মোহনপুর গোছা, থানা-মোহনপুর, জেলা-রাজশাহী, বর্তমানে-সাং-মাস্টারপাড়া (মোল্লাভবন জনৈক মোঃ হোসেন মোল্লার ছাত্রাবাস), থানা-বোয়ালিয়া, মহানগর রাজশাহী, আসামী ১। মোঃ এএইচএম মহিবুল আলম@তিমু(৫০), পিতা-মৃত আলহাজ¦ মমতাজ উদ্দিন, সাং-৯৯/৮৬ শিরোইল কলোনী, থানা-চন্দ্রিমা, মহানগর রাজশাহী ২। মোঃ রোকনুজ্জামান@রকি(২৫), পিতা-মোঃ শাহিন আলম, সাং-ছোট আখড়া, পোঃ-সান্তাহার, থানা-আদমদীঘি, জেলা-বগুড়া ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীদের বিরুদ্ধে উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি), আরএমপি রাজশাহী বরাবর অভিযোগ দেন যে, তিনি ও তাহার আরো ০৬ জন বন্ধুকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে নির্মানাধীন রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরী দিবে বলিয়া সর্বমোট = ৫,২৭,০০০/- টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু আসামীরা চাকরী না দিয়া তাদের সাথে প্রতারণা করে। টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য ইং ২২/০৬/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় বাড়ী থেকে সিএনজি যোগে চন্দ্রিমা থানাধীন শালবাগান এলাকায় নামা মাত্রই ০১ ও ০২ নং আসামীসহ অপরিচিত ৪/৫ জন লোক অভিযোগকারীকে হত্যার হুমকী দিয়া চোখ বাধিয়া অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া আটক করিয়া রাখে। মারপিট করিয়া খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ভয় দেখাইয়া ০৩ টি লিখিত স্ট্যাম্পে আসামীরা = ৭,০০,০০০/- টাকা পাইবে মর্মে স্বাক্ষর করিয়া নেয়। বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ মশিয়ার রহমান এর নের্তৃত্বে এসআই/মোঃ মিজানুর রহমান সরকার, এসআই/সুবাস চন্দ্র বর্মণ দেরকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার সত্যতা পাইয়া চাকুরীর প্রলোভন দিয়া প্রতারণা করিয়া টাকা নিয়া আত্মসাৎ করার অভিযোগে ০১ নং আসামী মোঃ এএইচএম মহিবুল আলম@তিমু কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাহার হেফাজতে থাকা স্ট্যাম্প ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে অভিযোগকারী চন্দ্রিমা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে চন্দ্রিমা থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-২৩/০৬/২০২০ ইং, ধারা-৩৪১/৩৪২/৪০৬/৪২০/৩৮৬/৫০৬ /৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। মামলাটি গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক তদন্ত চলিতেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হইয়াছে।