নাটোরে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা

জাহিদ হাসান
নাটোরে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কামার শিল্পীরা জেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায় কামারদের দোকানগুলোতে বেচাকেনা ও মেরামত কাজে উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকে সারা রাত পর্যন্ত দা, ছুরি, বঁটি চাপাতি হাসুয়া তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছে এ পেশায় নিয়োজিত কামার শিল্পের লোকজন।জেলায় কয়েক শত কামার পরিবার রয়েছে। বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় কামারদের তেমন কোনো কাজ না থাকায় এসব পরিবারের অনেকেই তাদের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে, মৌখাড়া বাজারে, লক্ষীকুল বাজারে রাজ্জাক মোড়, জালশুকা বাজারে, জোনাইল বাজারে, ঘুরে দেখা গেছে কামারদের দা, ছুরি, বঁটি চাপাতি হাসুয়া তৈরিতে ব্যস্ততা যেন চোখে পড়ার মতো। উপজেলার বনপাড়া বাজারের কামার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান এই পেশা করে আমার ছেলেকে অনার্স পর্যন্ত লেখাপড়া করিয়াছি ছেলের কোন চাকরি না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাকে আমার কাজে সহায়তা করে যাচ্ছে, ছেলে মোঃ সবুজ হোসেন জানান, এ পেশা নিয়ে তার পরিবারের দুরবস্থার কথা।
সারা বছর দোকান খুলে বসে থাকেন। তেমন কোনো কাজ কর্ম থাকে না কোনো প্রকারে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে। তারা কুরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকেন। কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে মুসলমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে নতুন কিংবা পুরনো দা, ছুরি ও বঁটি চাপাতি হাসুয়া মেরামত করতে হয়। এ সময় দোকানে অনেক কাজের ভিড় থাকে তাই বাবা আর আমি দিনরাত্রি কাজ করলে আমাদের পরিবারের অভাব কাটিয়ে কিছু দিনের জন্য সচ্ছলতা আসে। গ্রাহক বাজিতপুর গ্রামের হাজী হাসানুল বান্না উজ্জল জানান,পশু কুরবানির জন্য দা, ছুরি মেরামত করতেই হবে, কোন কোন কামার চড়া দাম নিচ্ছে, তবুও প্রয়োজনের তাগিদে মেরামত করতেই হচ্ছে। বড়াইগ্রাম কামার শিল্পীর সভাপতি গোপাল জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে তাঁতশিল্প মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে কামার শিল্প একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।