রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দরপত্র ছাড়াই পুকুরের মাছ মেরে নেওয়ার অভিযোগ।

লিয়াকত হোসেন রাজশাহী ব্যুরোঃ
কোন রকম দরপত্র ছাড়া রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেতরে পুকুরের মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু রায়হানের বিরুদ্ধে । গতকাল মঙ্গলবার রাতের আঁধারে তার নির্দেশে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেতরে পুকুর থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা হয়। বুধবার সন্ধায় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে অবস্থানরত কয়েকজন অফিস স্টাফ, পানি উন্নয়ন বোর্ডে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও স্থানীয়রা এমন অভিযোগ করে বলেন, যেহেতু সরকারী আইন লঙ্ঘন করে কোন রকম দরপত্র ছাড়া পুকুর থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা হয়েছে সেহেতু এটাকে চুরি বলে মনে করছেন তারা।
কয়েকজন অফিস স্টাফ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলম এর সময় গত ৯/১০মাস আগে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে বড়/বড় মাছ ছিলো পাউবো রাজশাহী অফিসের পুকুরে। নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলমের নির্দেশে সে মাছগুলো অফিসের পিয়ন খেকে শুরু করে সকল স্টাফ ও কর্মচারিদের খাওয়ার জন্য বড় করা হচ্ছিল। হটাৎ গত ২৫শে আগষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু রায়হান দায়িত্ব নেয়ারদিন রাতের আঁধারে তার নির্দেশে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেতরে পুকুর থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা হয়। গতবারে মসজিদের উন্নয়ন কল্পে পুকুরের মাছ বিক্রির টাকার কিছু অংশ দিলেও এবার পুরো পুকুরের মাছ নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু রায়হানসহ কয়েকজন অফিস স্টাফ মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। যার জ্বলন্ত প্রমান মিলবে পুকুরে জাল টানলেই।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত আনসার ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার আমান রফিক বলেন, রাতের আধারে মাছ চুরি বিষয়টি সঠিক না। তবে পুকুরে অনেক মাছ মরে ভেষে উঠেছিলো। গন্ধ ছড়াচ্ছিলো পানি উন্নয়ন বোর্ডে। সেগুলো পুকুর থেকে তুলে বাইরে ফেলে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেতরে পুকুরের মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু রায়হান। তিনি বলেন আমি সদ্য অতিরিক্ত দায়িত্বে যোগদান করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেতরে পুকুরের কোন মাছ আমি মারিনি বলে জানান তিনি।