রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় লকডাউনেও থেমে নেই শাহাআলমের অবৈধ পুকুর খননের কাজ।

 প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২০, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন   |   রাজশাহী


লিয়াকত হোসেন রাজশাহীঃ

লকডাউনেও থেমে নেই রাজশাহী মোহনপুর উপজেলা জুড়ে অবৈধ পুকুর খননের কাজ। রাজশাহীর মোহনপুরে প্রশাসন যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। ঠিক তখনই একশ্রেণীর অসাধু প্রতারক চক্র অবৈধ পুকুর খনন করা নিয়ে ব্যস্ত।

মারাত্মক সংকটে কৃষি জমি, কিছুতেই থামছে না তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক। জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না এমন উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও, রাজশাহীর মোহনপুরে তিন ফসলী কৃষিজমি গুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে আশঙ্কাজনক হারে কমতে বসেছে কৃষি জমির পরিমাণ।একশ্রেণীর অসাধু পুকুর ব্যবসায়ীরা কৃষকদের তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের জন্য দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় প্রস্তাব। 

কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে 8 ফুট গভীর করে জমির চারিদিকে বাঁধ দিয়ে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। এলাকাবাসীর অভিযোগ মোহনপুর কেশর হাটের অধিকাংশ পুকুর খননকারী ভেকু ব্যবসায়ী শাহাআলমের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই ভেকু ব্যবসায়ী শাহাআলম প্রশাসন ও অন্যান্য যাবতীয় দিক ম্যানেজ করে পুকুর খননের মহা উৎসবে মেতে উঠেছেন।

 

শাহ আলম বলেন আমি এমপি, টিএনও,এবং থানাকে ম্যানেজ করে পুকুর খনন করি।গোপালপুর বিলে হাসান আলী নামক পুকুর খননকারী বলেন,পুকুর আমার কিন্তু সবকিছু ম্যানেজ করার দায়িত্ব শাহাআলমের কিছু জানার থাকলে আপনি উনার কাছ থেকে জানতে পারেন।

 ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন কোথাও প্রকাশ্যে দিবালোকে আবার কোথাও কোথাও রাতের আধাঁরে চলছে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড। পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব অবৈধ পুকুর খননের কাজ।

তবে প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই অব্যাহত রেখেছে অবৈধ পুকুর খননের কাজ।উপজেলার গোপালপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী সব পুকুর মালিকদের কাছ থেকে চুক্তি নিয়ে পুকুর খনন করে দিচ্ছেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা এবং শাহা আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন মোহনপুর উপজেলাবাসী।