নাটোরে দুধ বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিলেন রাস্তায়

 প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২০, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন   |   রাজশাহী


জাহিদ হাসান নাটোর

সারাদেশে করোনাভাইরাস নিয়ে যখন সবাই আতঙ্কে তখন দুধ বিক্রি করা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন দুধ বিক্রেতারা। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা দুধ না কেনায় তাদেরকে বাধ্য হয়ে স্থানীয়ভাবে প্রায় অর্ধেকদামে দুধ বিক্রি  করতে হচ্ছে। কয়েকদিন হলো বাজারের  দুধ বিক্রি করতে গিয়ে দেখেন, দুধ বাজারে ক্রেতাশূন্য এ কারণে কয়েকজন দুধ বিক্রেতাকে প্রচুর লোকসান গুণতে হচ্ছে। স্থানীয় এসব দুধ বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাদের  গ্রাম থেকে প্রতিদিন কয়েক মণ দুধ বনপাড়া বাজারে আসে। স্থানীয় দই ব্যবসায়ী, হোটের রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকানের মালিক এইসব দুধের প্রধান ক্রেতা। দই ব্যবসায়ীরা এই বাজারে এসে দুধ কিনে থাকেন। এখন করোনা ভাইরাসের কারণে স্থানীয় দই ব্যবসায়ীরা তাদের তৈরিকৃত দই কোথাও সরবরাহ করতে পারছেন না। তাদের দোকানগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, এ কারণে তারা দুধ কিনছেন না। উপজেলার জুয়াড়ি ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের গাভী পালনকারী  মোঃ সাজাহান, পিতা মৃত নুরুল ইসলাম, জানান মোট ১ টি গাভী থেকে ১৪ কেজি দুধ হয়, কিন্তু দুধগুলো বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে পারছি না কয়েকদিন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে দিয়ে এসেছি, এত দুধ নিজেরা খেতে পারিনা, রাস্তায় ফেলে দেওয়া ছাড় আমাদের কোন উপায় নেই, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, পিতা আব্দুল হালিম, জানান তার দুইটি গাভীর ১৮ কেজি, দুধ হয়, কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে না পেরে সেও রাস্তায় দুধ ঢেলে ফেলে দেয়, কয়েকজন দুধ বিক্রেতা  বলেন, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গাভী পালনে তাদের ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। দুধ বিক্রি করা না গেলে  এমন অবস্থা চলতে থাকলে তাদের গাভী পালন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। পরিবার পরিজন নিয়ে তাদেরকে খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তাদের গ্রামসহ উপজেলার অনেক গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক ও দিনমজুর পরিবারগুলো গাভী পালন করে সংসারের দৈনন্দিন খরচ করে থাকে। এখন পরিবারগুলোকে অভাব অনটনে সংসার চালাতে হচ্ছে।